বিনোদন

সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করলেন প্রিয়াংকা কাপুর

দিল্লির দক্ষিণে ডিফেন্স কলোনিতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ২৫ বছর বয়সী সাবেক মডেল প্রিয়াংকা কাপুর চাওলা।

মাত্র তিন মাসেরও কম সময় আগে তিনি দিল্লির এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন। তাকে এ ঘটনার পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

প্রিয়াংকার মৃতদেহের পাশ থেকে পুলিশ দুই পৃষ্ঠার একটি চিঠি উদ্ধার করেছে। এতে তিনি আত্মহত্যার কারণ হিসেবে অনেক কথাই লিখে গিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন, জানুয়ারিতে বিয়ে করাটাই ছিল তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। এ ছাড়া তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে এনেছেন নির্যাতনের অভিযোগ। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি আত্মহত্যা করেন। এদিন তার পিতা অশোক কাপুর পুলিশকে জানান, তিনি তার মেয়েকে ফোনে পাচ্ছেন না।

প্রিয়াংকার বোন ডিম্পি জানান, প্রিয়াংকা বা তার স্বামী কাউকে শুক্রবার বিকাল থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ অভিযোগে পুলিশ ছুটে যায় প্রিয়াংকার বাসায়। তারা প্রিয়াংকার তৃতীয় তলার অ্যাপার্টমেন্টে যায় দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের একটি টিমকে সঙ্গে নিয়ে। এ সময় তারা দেখতে পান ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে প্রিয়াংকার দেহ। তবে তার পা বিছানার সঙ্গে লেগে আছে।

আত্মহত্যার আগে তিনি নিজের কব্জিও কেটে ফেলেছেন। কিন্তু এতে যে ক্ষত হয়েছে তা একজন মানুষ মারা যাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। তার শরীরে আরও বেশ কিছু ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া যায়।

পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় দু-এক ঘণ্টার মধ্যেই। একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, তার বিছানার পাশে একটি টেবিলে রাখা ছিল আত্মহত্যা-সংক্রান্ত ২ পৃষ্ঠার ওই নোট।

প্রসঙ্গত, প্রিয়াংকা কাপুর চাওলাকে বিয়ে করার জন্য প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন নিতিন চাওলা। গ্রেটার কৈলাশ ও গুরগাঁওয়ে রয়েছে তার নিজস্ব বার-কাম রেস্তরাঁ। রাজধানীর লোহা মন্দিতে রয়েছে তার স্টিলের ব্যবসা। পুলিশ বলছে, আত্মহত্যার আগে লেখা নোটে প্রিয়াংকা লিখেছেন, নিতিন ও তার পরিবার বিভিন্ন ইস্যুতে তাকে নির্যাতন করতেন। মাঝে মাঝেই তাকে প্রহার করতেন নিতিন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রিয়াংকার সঙ্গে তার বোঝাপড়ায় সমস্যা নিয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এ মামলায় তার মা হর্ষ ও ভাই যতিনকেও আসামি করা হয়েছে। প্রিয়াংকার বোন ও তার মায়ের বক্তব্যও রেকর্ড করেছে পুলিশ।

Share