Home / বিনোদন / সিনেমায় নয় : বাস্তবে দু’অপরাধীকে ধরে পুলিশে দিল মিমি

সিনেমায় নয় : বাস্তবে দু’অপরাধীকে ধরে পুলিশে দিল মিমি

পর্দার বাহিরে এবার নিজেকে সত্যিকারের নায়ক হিসেবেই প্রমাণ করলেন টালিগঞ্জের এই কন্যা। দুই অপরাধীকে হাতে নাতে ধরে ফেলে সারা দেশের মানুষের প্রশংসা কুড়াচ্ছেন ওপার বাংলার চলচ্চিত্র অভিনেত্রি মিমি চক্রবর্তী। মিমি যা করেছেন তা কেবল সিনেমায় নায়ককেই করতে দেখা যায়।

গত ১৭ জানুয়ারির কথা। চিত্রনায়ক দেবের সঙ্গে একটি টিভি অনুষ্ঠানে একসাথে শো করার পর সহকারী এবং দুই বাউন্সারকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতা ফিরছিলেন মিমি। হঠাৎ কলকাতার তেঘড়িয়ায় এসে দেখতে পান এক মর্মান্তিক কান্ড। এক বাইক চালককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় অন্য একটি গাড়ি। শুধু তাই নয় রাস্তায় ছিটকে পড়া আহত বাইক চালক গাড়ির চাকার সাথে আটকে গেলে তাকে ওই অবস্থায় হ্যাচড়াতে হ্যাচড়াতে নিয়ে ছুটছিলো গাড়িটি। চোখের সামনে এ রকম একটা দৃশ্য দেখে মেনে নিতে পারেননি মিমি। একটু দূরে গিয়ে গাড়িটির গতি একটু কমতেই একে ধরে ফেলেন তিনি।

ঘটনা প্রসঙ্গে মিমি জানিয়েছেন, ‘রাকেশবাবু যখন চাকার তলায় এসে পড়লেন, তখনও যদি ওরা গাড়িটা থামাত, মানুষটা অতটা জখম হতেন না। কিন্তু রাকেশবাবু চাকায় আটকে গিয়েছেন। এই অবস্থাতেই তাঁকে নিয়ে ঘষটাতে ঘষটাতে এগিয়ে যায় গাড়িটি। হঠাৎ দেখলাম মানুষটার পা-টা দেহ থেকে আলাদা হয়ে গেল। আমি আর মাথা ঠিক রাখতে পারিনি। আমার ড্রাইভারকে বললাম, ওদের কিছুতেই পালাতে দেব না।’

দ্রুত ধাওয়া করে করেন গাড়িটিকে এবং সেটিকে থামাতেও সক্ষম হন তিনি! গাড়ি থামতেই মিমি নেমে গিয়ে ওই দুই অপরাধীর ছবি তুলে নেন এবং মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে ফোন করে দ্রুত খবর পাঠান নিকটস্থ থানায়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আহত ব্যবসায়ীর নাম রাকেশ অগ্রবাল। বাড়ি তেঘরিয়াতেই। আশঙ্কাজনক অবস্থা তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি। ধৃত দুই মদ্যপ আরোহীর নাম রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ও ব্রজ বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রাজ চক্রবর্তী। চলে আসে পুলিশ। রাকেশের স্ত্রীকে ফোন করে খবর দেন মিমি নিজে। সোমবার রেশমি অগ্রবাল হাসপাতাল থেকে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বললেন, ‘আমি সত্যি বুঝতে পারিনি উনি মিমি চক্রবর্তী। ওঁর জন্যই দোষীরা ধরা পড়ল। আজকাল কেউ এ ভাবে অচেনা মানুষকে সাহায্য করে না!’

উন্মত্ত গাড়ি আর নির্লিপ্ত নাগরিকের মাঝখানে মিমির এই কাজ বাহবা আদায় করে নিয়েছে। এখন টালিউড মহল শুধু নয় সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যপক প্রশংসা পাচ্ছেন মিমির এই দুঃসাহসিক কাজ। সবাই এখন ‘ধন্যি ধন্যি সাহসীনী’ বলেছেন মিমিকে।

 নিউজ ডেস্ক ।।আপডেট : ৫:০০ এএম, ২০জানুয়ারি ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ