সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় মাইন্ড এইড নিরাময় কেন্দ্রের এক নারী পরিচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম ফাতেমা আক্তার ময়না।
ফাতেমাকে বৃহস্পতিবার তার ধানমণ্ডির বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি মনোবিজ্ঞানে পড়েছেন এবং পরে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করলেও কোনো সনদ দেখাতে পারেননি বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হারুন অর রশিদ।
এদিকে মাইন্ড এইডের এই দুই পরিচালক ফাতেমা খাতুন ময়না ও ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ খানকে (নিয়াজ মোর্শেদ) শুক্রবার আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুজনেই অসুস্থ থাকায় তাদেরকে আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ।
ডিসি হারুন অর রশিদ জানান, ফাতেমা আক্তার ময়না অসুস্থ থাকায় তাকে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যে কারণে শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ।
আদাবর থানার ওসি সাহিদুজ্জামান যুগান্তরকে জানান, সুস্থ হলে তাদেরকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে। তারা দুজন মানসিক সমস্যার চিকিৎসা নিতে যাওয়া পুলিশের সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিমকে মারধর করে হত্যা ঘটনার মামলায় আসামি।
গত সোমবার মানসিক সমস্যার চিকিৎসা নিতে আদাবরের মাইন্ড এইডে ভর্তির কয়েক মিনিটের মধ্যেই মারা যান পুলিশের সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম। পরে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে পুলিশ নিশ্চিত হয় তাকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বাবা ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ বাদী হয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকসহ ১৫ জনকে আসামি করে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম পরিচালক ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ খানকে (নিয়াজ মোর্শেদ) মঙ্গলবার বিকালে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে তিনি অসুস্থতার কারণে নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছেন, ফাতেমা আক্তার ময়না মাইন্ড এইডে আসা রোগীদের সমস্যার ধরন দেখে চিকিৎসা বলে দিতেন। প্রথম অবস্থায় সবাইকে মারধর করে দুর্বল করা হতো। পরে বাইরে থেকে চিকিৎসক এনে দেখানো হতো। এ কারণে তার নামে হত্যার পাশাপাশি অপচিকিৎসা তথা প্রতারণার মামলাও করবে পুলিশ।
বার্তা কক্ষ,১৩ নভেম্বর ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur