রাজধানীর `সিটিং সার্ভিস হচ্ছে চিটিং সার্ভিস ‘ বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার ২৫ জানুয়ারি বেলা সোয়া ১ টায় রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ব্র্যাক ড্রাইভিং স্কুলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১১ জন নারী গাড়ি চালকের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন,‘রাজধানীর সিটিং সার্ভিস হচ্ছে চিটিং সার্ভিস। গণপরিবহন নিয়ে এতো কাজ হচ্ছে,তারপরও ফলাফল আসছে না।’
বিআরটিসিতে শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেটের কারণে বিআরটিসি লাভের মুখ দেখে না। এ সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলা কঠিন। তবুও চেষ্টা করছি বাধার প্রাচীর ভেঙে ফেলার জন্য। আমি হতাশ হবো না, যদিও হতাশ হওয়ার মতো অনেক কারণ রয়েছে। সড়কে প্রতিনিয়ত মানুষ মরছে। মন্ত্রী হিসেবে আমি দায় এড়াতে পারি না। অনেক পরিবার সড়কে প্রাণ হারাচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন,‘নারী চালকরা ঠাণ্ডা মাথায় গাড়ি চালায়। এজন্য তাদের গাড়ি চালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া আমাদের প্রয়োজন। তাদেরকে উৎসাহিত করতে হবে। বিআরটিসিতে অনেক সিন্ডিকেট,তারপরও চেষ্টা করবো নারী চালক নিয়োগ দিতে।’
তিনি বলেন,‘রাজনীতিতে বেপরোয়া চালক,সড়কেও বেপরোয়া, পথচারীও তেমন বেপরোয়া। কে কার কথা শোনে। আইন না মানার যে প্রবণতা এ দেশে,এটা কবে যে শেষ হবে। আমরা সবাই সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলছি, কিন্তু সড়কেতো শৃঙ্খলা নেই। মানুষ হামাগুড়ি দিয়ে আইল্যান্ড পার হচ্ছে। মা সন্তানকে নিয়ে সড়ক পার হচ্ছে। অথচ পাশেই ফুটওভার ব্রিজ। কে কাকে বোঝাবে।’
কাদের বলেন,‘যারা সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন নয়,তাদেরকে সচেতন করতে হবে। স্যার ফজলে হাসান আবেদ প্রান্তিক মানুষ ছিলেন,শেকড়ে নিয়ে যেতেন ব্র্যাকের কার্যক্রম। শেকড়ের অনুসন্ধানে ব্র্যাকের যে ইতিহাস,ড্রাইভিং স্কুলে সেই ধারা অব্যাহত রাখা হবে।’
তিনি বলেন,‘স্যার ফজলে হাসান আবেদ জাতিকে অনেক কিছু দিয়েছেন। তার অবদান চিরস্মরণীয়। বেঁচে থাকলে তিনি আরো অনেক কিছু দিতেন। ব্র্যাকের উদ্যাগে এগিয়ে নিতে সরকার সহযোগিতা করবে। রোড সেফটির জন্য বিশ্ব ব্যাংক টাকা দেয়ার কথা, কিন্তু কবে দেবে জানি না। আমরা আশা করবো বিশ্ব ব্যাংক প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে।’
বার্তা কক্ষ,২৫ জানুয়ারি ২০২০