অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বের সাবেক স্ত্রী নাজিয়াকে জড়িয়ে ‘অপ্রীতিকর’ কিছু খবর প্রকাশ করেছে কিছু অনলাইন পোর্টাল। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়েছেন অপূর্ব। অপুর্ব বলছেন, তার স্ত্রীর প্রতি কখনোই কোনো অভিযোগ ছিল না। অথচ সেসব ‘নামসর্বস্ব’ অনলাইন পোর্টালগুলো বলার চেষ্টা করছে রিজেন্ট গ্রুপের সাহেদের সাথে পরকীয়া প্রেমে যুক্ত ছিলেন অদিতি।
অপূর্ব বলছেন, ‘কোনও ধরনের ভনিতা না রেখেই বলছি গত দুইদিন থেকে দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু ভুঁই ফোঁড় ধরনের অনলাইন পত্রিকা কোনও ধরনের তথ্য প্রমাণ ছাড়াই আমার সাবেক স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতি এবং আমার বিচ্ছেদের ব্যাপারে অত্যন্ত কুরুচিপুর্ণ মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। যা আমার এবং অদিতির জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। আমি আগেও বলেছিলাম অদিতির সাথে আমি এখন সাংসারিক জীবনে না থাকলেও সে আমার সন্তানের মা। সুতরাং অদিতির সম্মান নিয়ে বা অদিতির নামের সাথে জড়িয়ে তৃতীয় কারো নাম নিয়ে যে বা যারা কোনও ধরনের কোনও নোংরা খেলায় মাতবে এদের কাউকেই আমি ছেড়ে কথা বলব না।’
উল্লেখ্য, কালের কণ্ঠসহ মূলধারার গণমাধ্যমগুলো বুধবার প্রকাশিত সংবাদে বলেছে সাহেদের সঙ্গে দুজন নারীর সম্পর্ক ছিল যারা মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত। এছাড়াও কয়েকটি গণমাধ্যম বলছে সাহেদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কারণে দু নায়িকার সংসার ভেঙে গেছে। আর কতিপয় অনলাইন পোর্টাল এতে নাজিয়াকে যুক্ত করে ফেলেছে। অছ অপূর্ব সরাসরি মিডিয়ার মানুষ হলেও নাজিয়া কোনোভাবে মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। যদিও একটি নাটকের গল্প লিখেছেন তিনি। ওই পর্যন্তই।
অপূর্ব বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে দেশের একজন দূর্নীতিবাজের সাথে আয়াশের মাকে জড়িয়ে এই ধরনের মিথ্যা এবং কাল্পনিক ঘটনা প্রচার করার জন্য আমি এই দেশের একজন সুনাগরিক হিসাবে এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। শুধু প্রতিবাদই না আমাদের ব্যাক্তিগত জীবনের ঘটনা নিয়ে এই ধরনের নোংরা মিথ্যাচার ছড়ানোর দায়ে আমি এই সকল পত্রিকার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি যা আজ কালের ভেতরে সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, আমি খুব স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই অদিতি আমার স্ত্রী ছিল এবং এখন সে আমার সন্তানের মা। আমার নয় বছরের সাংসারিক জীবনে অদিতিকে নিয়ে আমার কোনও ধরনের কোন অভিযোগ নেই এবং ভবিষ্যতেও থাকবেনা। বরং আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ মানুষদের ভেতরে অদিতি একজন যাকে আমি আজীবন সম্মান করে যাব। তার সাথে এইটাও বলতে চাই অদিতির যেকোনও সম্মানহানিকর ব্যাপারে আমি এভাবেই ওর পাশে থাকব।
অপূর্ব বলেন, আমি আবারো বলছি অদিতি আমার স্ত্রী না থাকলেও সে আমার সন্তানের মা। সুতরাং আয়াশের মায়ের বিরুদ্ধে কোন ধরনের কোনও ষড়যন্ত্র বা নোংরামিকে আমি মেনে নিব না। গোয়েন্দা সংস্থার নাম ভাঙ্গিয়ে অদিতি এবং আমাকে জড়িয়ে এই ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালানো অনলাইন পত্রিকাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য আমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সেই সাথে আবারো বলছি এই ধরনের কুরুচিপুর্ণ মিথ্যা কল্পকাহিনী ছড়ানোর দায়ে আমি ঐ সকল অনলাইন পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
জনপ্রিয় এই অভিনেতা বলেন, আমি আরো স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে বা যারা এই নোংরা খেলার সাথে জড়িত তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে আমি আইনের আওতায় আনব। আমি আশা করব মূল ধারার গন মাধ্যমগুলো আমাকে এই ব্যাপারে সত্য প্রকাশ করে সহায়তা করবেন। কারণ দীর্ঘ সময় মিডিয়াতে কাজ করার সুবাধে তাদের কাছে আমার এই দাবি থাকতেই পারে।
বার্তা কক্ষ,২৪ জুলাই ২০২০