চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে একজন সাহসী আনসার সদস্য এপিসি মো. জসিম খাঁন। যিনি নিজ দায়িত্ব পালনে সর্বদা সচেষ্ট এবং সমাজে সর্বজন পরিচিত।
গত ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা ঠেকাতে গিয়ে তিনি গুরুত্বর আহত হন। ওই সময় চিকিৎসার জন্য খরিদ করা সাড়ে তিন শতাংশ জমি বিক্রি করে নিজের চিকিৎসা করেন। বর্তমানে আহত ওই আনসার সদস্য অর্থ সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
এদিকে নির্বাচনে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের প্রশাসনিক স্বীকৃতি পেয়েছেন ওই আনসার সদস্য।
জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তার কাছ থেকে পাওয়া প্রত্যয়নপত্র রয়েছে তার কাছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব দায়চারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেন এপিসি জসিম খাঁন। দায়িত্ব পালনকালে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তিনি তার ব্যবহৃত রাইফেল থেকে ৩ রাউন্ড গুলি ব্যবহার করেন।
তবে তিনি ভোট কেন্দ্র দখল ঠেকাতে গিয়ে উশৃঙ্খল জনতার হামলায় ঠোঁটে, মুখে, দুটি দাঁত ভাঙ্গা, পা’য়ে, বাম হাতের আঙ্গুল ও বুকে মারাত্বক জখম হন।
আহত অবস্থায় তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। তার ঠোঁটে ১২টি ও দুই আঙ্গুলের মাঝখানে ৭টি সেলাই দিতে হয়। দীর্ঘ ৪ মাস চিকিৎসার পর তিনি কিছুটা সুস্থ হলেও এখনো তার নিয়মিত ঔষধ সেবন করতে হয়।
এপিসি জসিম খান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আমি চিকিৎসার জন্য কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করেছি। এমনকি টাকার অভাবে নিজের ক্রয়কৃত সাড়ে তিন শতাংশ সম্পত্তিও বিক্রি করে দিতে হয়েছে। চিকিৎসার্থে বসতঘরের জায়গাও বিক্রি করে দিয়েছি। এখন ফরিদগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিত্যক্ত একটি কক্ষে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে জীবন যাপন করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি দেশকে ভালোবেসে আনসার বাহীনিতে যোগদান করেছি। বর্তমানে আমি আনসার ভিডিপি ক্লাব সমিতির জেলা সভাপতি ও ভিডিপি অস্ত্র চালনা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত একজন সশস্ত্র আনসার সদস্য। আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে আমি সর্বদা সচেষ্ট আছি।’
তার এ অবস্থায় চিকিৎসা ব্যয় বহনে সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছেন।
আতাউর রহমান সোহাগ : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬:০০ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৬, রোববার
ডিএইচ