জনপ্রিয় লোকসঙ্গীত শিল্পী ও ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সালমা বেগমের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন তার সাবেক স্বামী দিনাজপুর-৬ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি শিবলী সাদিক।
তিনি বলেছেন, সালমার উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনই বিবাহ বিচ্ছেদের মূল কারণ। তিনি দাবি করেন, সালমার অস্বাভাবিক চলাফেরার কারণেই বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে।
শনিবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে তিনি বলেন, ‘আমার পরিবার ও বংশ সম্পর্কে আপনাদের হয়তো ধারণা আছে। দিনাজপুরের স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পটের সুবাদে অনেকে আমাদের চেনেন। সালমার অস্বাভাবিক চলাফেরার কারণেই বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে। সালমা রাত-বিরাতে বিভিন্ন জায়গায় যায়।
এটিই মূল সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এটাই আমরা এক্সসেপ্ট করতে পারিনি। বিশেষ করে গত রমজানে সেহরি পার্টি থেকে শুরু করে চার মাস রাগ করে বাসা থেকে চলে গিয়ে বাইরে ছিল। সে চলতি মাসের ২০ তারিখ বাসায় ফিরে টাকা-পয়সা দাবি করে, মোহরানা দাবি করে। এমনকি কাজী সঙ্গে নিয়ে আসে। একপর্যায়ে ২০ লাখ টাকা দাবি করে। এমনকি সে চেক না দিয়ে নগদ টাকা দাবি করে।’
সালমাকে গান করতে না দেয়া সম্পর্কে তরুণ এই এমপি বলেন, ‘আমরা চাচ্ছিলাম সে একটা লিমিটেশনের মধ্যে থাকুক। ঢাকায় গ্রোগ্রাম করুক, বড় বড় প্রোগ্রামে অংশ নিক। কিন্তু ওর কথা এটা নয়। ওর কথা হলো সে আমেরিকা বা দেশের বাইরে যাবে, নাটক ও অভিনয় করবে। রাত-বিরাত স্টুডিওতে গিয়ে কাজ করবে। এসব করতে পারিবারিকভাবে আমরা নিষেধ করেছি। এই হলো বিষয়।’
মেয়ে কার কাছে থাকবে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ বিষয়ে দুজনের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। মেয়ে আমার কাছেই থাকবে।
তিনি যোগ করেন, মেয়ের টেককেয়ার সে আগেও করতো না বা এর ধারও ধারতো না। তিনি বলেন, সালমার পরিবারের টার্গেট ছিল আসলে অন্য বিষয়ে। তারা টাকা-পয়সা আদায় করতে চেয়েছে। তারা সফলও হয়েছে।
সালমার বাবা-মাকে সম্মান না করা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এসব বাজে কথা। ওর বাবা-মা তো মাসের ২৫ দিনই আমার কাছে থাকতো। আমি যদি খারাপ ব্যবহার করতাম তাহলে আমার বাসায় কীভাবে থাকে? মাসের ৫টা দিন শুধু কুষ্টিয়া থাকতো তারা।
এমনকি সালমার বাবা-মা ভাইবোনকে আমিই টাকা-পয়সা দিতাম। এমনকি আমার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর সালমার নামে এখন ঢাকায় দুটি ফ্ল্যাট হয়েছে।
তাদের গ্রামে দোতলা বাড়ি করে দিয়েছি আমি। বিয়ে হওয়ার আগেও সালমা ইনকাম করতো কিন্তু কিছুই তো করতে পারেনি।’ -জাগো নিউজ