বিশেষ সংবাদ

সালমাকে নির্যাতন করে ফেলে দেয়া হলো জঙ্গলে

বাবা-মার আদরের মেয়ে সালমা। ফুটফুটে চেহারা। মেয়ের সুখের জন্য বিয়ে দেন যুবক রুবেলের সঙ্গে। বিয়ের সময় জামাইকে বেশ উপঢৌকনও দেন। এরপর মায়বী চেহারার সালমা চলে যান শ্বশুরবাড়ি। কিন্তু স্বামী আর সংসারের সুখ বেশিদিন সহ্য হয় না তার।

কয়েক মাস পরেই শ্বশুরবাড়িতে দেখা দেয় অভাব। আর এজন্য দায়ভার চাপানো হলো নতুন বউয় সালমার ওপর। বাবার বাড়ি থেকে আনতে বলা হলো টাকা-পয়সা। কিন্তু সালমা অস্বীকার করায় স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে তার ওপর শুরু হলো নির্যাতন।

ঘটনাটি পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌর এলাকার হোসেনপাড়া গ্রামের। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ সালমা আকতার (২২) কলাপাড়ার মহিপুর ইউনিয়নের বিপিনপুর গ্রামের সোনা মিয়ার মেয়ে।

দেড় বছর আগে তার বিয়ে হয় কুয়াকাটার হোসেনপাড়া গ্রামের সোহরাব হাওলাদারের ছেলে রুবেল হাওলাদারের সঙ্গে।

সালমার পরিবারের অভিযোগ, রুবেলের সঙ্গে বিয়ের প্রথম দিকে তাদের সংসার ভালোভাবেই চলছিল। এক সময় সংসারে অভাব দেখা দিয়ে যৌতুক চেয়ে বসে সালমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি ঝগড়া হতো। এক পর্যায়ে গত সোমবার দুপুরে ফের যৌতুকের দাবি সালমার ওপর নির্যাতন চালায় স্বামী-শাশুড়ি মিলে। তাকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পিটানো হয়। এরপর টেনে হেঁচড়ে ফেলে দিয়ে আসা হয় বাড়ির পাশের জঙ্গলে।

খবর পেয়ে সালমার বাড়ির লোকজন তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ভর্তি করে দেয় কলাপাড়া হাসপাতালে। সেখানেই কয়েকদিন ধরে চিকিৎসা চলছে সালমার।

হাসপাতালের চিকিৎসক মানস মজুমদার জানান, সালমার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

সালমার বাবা সোনা মিয়া জানান, যৌতুকের দাবিতে জামাই রুবেল হাওলাদার, বেয়াই সোহরাব হাওলাদার ও বেয়ান দেলোয়ারা বেগম মিলে আমার মেয়ের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। আমি এর বিচার চাই। মেয়েটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেই এ ঘটনা মামলা করবো।

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক ||আপডেট: ০৮:১৫ পিএম,১৫ অক্টোবর ২০১৫, বৃহস্পতিবার

 এমআরআর

Share