কচুয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারে ও রাস্তা সংলগ্ন মোড়ে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে লাইসেন্স বিহীন খুচরা সারের দোকান। কোনো নিয়মনীতির বালাই না করেই দিনের পর দিন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এসব সারের দোকান দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে অধিক মুনাফা। এতে সরকার একদিকে রাজস্ব মুনাফা হারাচ্ছে অন্যদিকে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা অসাধু কিছু ব্যবসায়ীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, কচুয়ায় দুটি অংশে বিশেষ করে সাচার এলাকায় আলু চাষ ও কচুয়া ও রহিমানগর অংশে ইরি ধান আবাদ হওয়ায় বছরের বিভিন্ন সময়ে কৃষকদের সারের চাহিদা থাকে। ফলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই সুযোগ নিয়ে মুদি, মনিহারী, গার্মেন্টস ও অন্যান্য দোকানের মধ্যেও সার ও কীটনাশক ঔষুধ বিক্রি করে আসছেন। যাদের অধিকাংশদের ট্রেড লাইসেন্স, আইডি কার্ড ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। পাশাপাশি অন্য ব্যবসায় সাথে এই ব্যবসায় পরিচালনা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এসব অসাধু খুচরা সার ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল ও প্রকৃত ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ সরকারের কোনো নিয়ম না মেনেই ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের তুলপাই বাজারে আলী আহমেদ এর দোকানে সফিক ও সৌরভ,সেঙ্গুয়া বাজারে আক্তার হোসেন,প্রসন্নকাপ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন আবুল হাসানাত আইডি কার্ড না নিয়ে সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে খুচরা সার বিক্রি করে আসছেন।
এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা কৃষি উন্নয়ন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও কচুয়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন সিকদার বলেন,সরকারি নিয়ম মেনে যথাযত ভাবে ব্যবসায় পরিচালনার জন্য খুচরা সার ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছি। তবে যারা আইডি কার্ড ও প্রয়োজণীয় কাগজপত্র করেননি তাদের কাগজপত্র সম্পন্ন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: সোফায়েল হোসেন জানান, আইডি কার্ড ও ট্রেড লাইসেন্স ব্যতীত খুচরা সার বিক্রি করার নিয়ম নেই। যাদের আইডি কার্ড ও লাইসেন্স নেই অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু,১৬ নভেম্বর ২০২০