জাতীয়

সার্ভার স্টেশন থাকলেও নাগরিকরা স্থানীয় পর্যায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র আর পাচ্ছেন না

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১২:৪৮ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০১৫, রবিবার

 

স্থানীয় পর্যায়ে সার্ভার স্টেশন থাকলেও বহুল কাঙ্খিত জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাচ্ছেন না নাগরিকরা। এক্ষেত্রে ঢাকা থেকেই এ সেবাটি অব্যাহত রাখবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, এনআইডি সেবাকে বিকেন্দ্রীকরণ করার লক্ষ্যে সারাদেশে সার্ভার স্টেশন স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেয় এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন বিগত কমিশন। ইসির কেন্দ্রীয় সার্ভারের সঙ্গে উপজেলা পর্যায়ে সার্ভার স্টেশনগুলোর সংযোগ স্থাপন করে স্থানীয় পর্যায়ে সেবা দেওয়াই যার মূল লক্ষ্য ছিলো।

এতে সারাদেশে ৯টি আঞ্চলিক, ৩৮টি জেলা ও ৪১০টি উপজেলায় সার্ভার স্টেশন স্থাপনের কাজ চলছে। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর এই সার্ভার স্টেশনগুলোর কাজ প্রায় সম্পন্ন। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সার্ভারের সঙ্গে স্থানীয় সার্ভার স্টেশনের সংযোগ স্থাপনের জন্য দরপত্র আহ্বানেরও প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইসি। কিন্তু এই সংযোগ স্থাপন হলেও আদতে বিকেন্দ্রীকরণ কিছু হবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির উপ-সচিব পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, সার্ভার স্টেশনগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রের সংযোগ স্থাপন হলে স্থানীয় পর্যায় থেকেই নাগরিকরা আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু আঞ্চলিক পর্যায় বা একেবারে স্থানীয় পর্যায় থেকে এনআইডি সরবরাহ করা হবে না। স্থানীয় পর্যায়ে যে আবেদনগুলো পড়বে, তা কেবল ইসির নিজস্ব নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে তড়িৎ গতিতে কেন্দ্রে চলে আসবে। কিন্তু কার্ড সংশোধন, ছাপানো সব কেন্দ্রেই হবে। এরপর তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত এবং এর তথ্য যে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সুরক্ষিত, তার জন্য ব্যাপক অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি প্রয়োজন। যা কেবল ঢাকাতেই আছে। যদি কোনোদিন স্থানীয় পর্যায়ে এই সুযোগ সৃষ্টি করা যায়, তবেই কেবল উপজেলা বা আঞ্চলিক পর্যায় থেকে এনআইডি সরবরাহ করা যাবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৯ কোটি ৬২ লাখ নাগরিকের তথ্য ভাণ্ডার রয়েছে ইসির। এদের মধ্যে ৪৭ লাখ নাগরিককে কোনো এনআইডি এখনো দেওয়া হয়নি। বর্তমান সময়ে এনআইডি সংশোধন বা নতুন এনআইডির জন্য স্থানীয় পর্যায়ে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। যেসব আবেদন উপজেলা বা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা ডাকযোগে কেন্দ্রে পাঠিয়ে থাকেন। এতে সময় লেগে যায় অনেক। অন্যদিকে সার্ভার স্টেশনগুলো চালু হলে স্থানীয় পর্যায় থেকে খুব দ্রুত অনলাইনে আবেদনগুলো কেন্দ্রে পাঠাবেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ফলে তুলনামূলকভাবে সময় কিছুটা বেঁচে যাবে। তবে প্রকৃত বিকেন্দ্রীকরণ হবে না।

চাঁদপুর টাইমস-ডিএইচ/২০১৫।

 

Share