সারা দেশে ক্রমেই শীতের তীব্রতা বাড়ছে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ২৯টি জেলায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব জেলায় বোরো ধানের বীজতলা রক্ষার জন্য বিশেষ পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। এ ছাড়া উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত তীব্র শীত থাকতে পারে।,
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গতকাল বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে, ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া পাবনায় তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। অন্যদিকে খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের বেশির ভাগ জেলায় তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে।,
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা পড়তে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য হ্রাসের কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীত অনুভূত হতে পারে।,
ঘন কুয়াশা : ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সব জেলায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এসব বিভাগের সব জেলায় বোরো ধানের জন্য বিশেষ আবহাওয়া ও সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। সংস্থাটির বিশেষ কৃষি আবহাওয়া বুলেটিনে বলা হয়, হিমালয়ের পাদদেশ কুয়াশায় আচ্ছন্ন। এই কুয়াশা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হচ্ছে এবং শুক্রবার পর্যন্ত থাকতে পারে। কুয়াশা চলে গেলে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বোরো ধানের বীজতলার পরিচর্যা : ঘন কুয়াশায় ক্ষতি কমাতে বীজতলা পরিচর্যার বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করতে বলেছেন বিজ্ঞানীরা। এ সময় স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে বীজতলা সারা দিন ও রাত ঢেকে রাখতে হবে। এমনভাবে রাখতে হবে যেন পাতা কোনোভাবেই পলিথিনকে স্পর্শ না করে। এ ছাড়া বীজতলায় তিন থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার পানি রাখতে হবে। বীজতলার পানি প্রতিদিন সকালে বের করে দিয়ে নতুন পানি দিতে হবে। বিশেষ ক্ষেত্রে ওষুধ প্রয়োগ করা যেতে পারে। প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৭০ থেকে ৮০ গ্রাম থিওভিট ভালোভাবে মিশিয়ে ৪-৫ শতাংশ বীজতলায় স্প্রে করা যাবে।,
চুয়াডাঙ্গায় সূর্যের দেখা নেই : তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা পাচ্ছে না চুয়াডাঙ্গাবাসী। আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, গতকাল সকাল থেকে দুুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। মাঝারি থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের মতো শীত অনুভূত হচ্ছে। গতকাল জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরো তিন-চার দিন এমন অবস্থা থাকতে পারে।,
শীতে কাঁপছে জয়পুরহাট : গত কয়েক দিন জয়পুরহাটের আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার কারণে কাঁপছে উত্তরের এই জেলার বাসিন্দারা। জানা যায়, শীতে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন দিনমজুর ও কৃষকরা। তীব্র শীতের কারণে তাঁরা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।,
আবহাওয়া ডেস্ক, ৫ জানুয়ারি ২০২৩