চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক | আপডেট: ০৫:৪৫ অপরাহ্ণ, ১৪ আগস্ট ২০১৫, শুক্রবার
সারাবিশ্বে চাঁদপুর ইলিশের নগরীখ্যাত হলেও নেই ইলিশের দেখা। ফলে হতাশ চাঁদপুরবাসী।
ইলিশের ভরা মৌসুমেও ইলিশের রাজধানী চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ মাছের দেখা নেই। বছরের এ সময়গুলোতে পদ্মা-মেঘনায় ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ ধরা পড়লেও এ বছর ভরা মৌসুমে জেলেরা দেখা পাচ্ছেন না ইলিশের। চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মাছঘাট দেশের অন্যতম ইলিশ বাণিজ্য কেন্দ্র। প্রতিদিন পদ্মা-মেঘনা থেকে জেলেদের ধরা ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ও বিদেশে রফতানি হয়। কিন্তু ইলিশ না থাকায় রফতানিকারকরাও হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন।
আষাঢ়ের শুরু থেকেই প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ে। কিন্তু এখন আশ্বিন মাস শেষ হয়ে গেলেও ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে না। চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছের আড়ৎগুলো রয়েছে ইলিশ শূন্য ও নদীর পাড়ের আড়ৎগুলোতে নেই ইলিশ বেচা-কেনার হাঁকডাক। প্রতিদিন জেলেরা জাল নৌকা নিয়ে নদীতে নামছেন। কিন্তু সারাদিন জাল বেয়ে ৪/৫টি ইলিশ নিয়ে তারা তীরে ফিরছেন। এখন তীরে জাল বুনে হতাশার মধ্যে দিন কাটছে তাদের। এখন জেলেদের মাঝে চলছে শুধুই হাহাকার। আর এ সঙ্কটের জন্য জেলেরা দায়ী করছেন জাটকা মৌসুমে নির্বিচারে জাটকা নিধনকেই।
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের ইলিশ বিশেষজ্ঞ ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আনিছুর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় নদীতে পানির প্রবাহ কম। এছাড়া নদীতে ডুবোচর থাকায় ইলিশ বিচরণে মারাত্মক বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। যার জন্য এবার ইলিশ মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে জাটকা নিধন প্রতিরোধ কর্মসূচি জোরদার, কারেন্ট জাল উৎপাদন ফ্যাক্টরি স্থায়ীভাবে বন্ধ এবং নদীর ডুবোচরগুলো খনন না করলে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া যাবে না বলে মৎস্য বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫