২৩৪টি পৌরসভার মধ্যে সাতটিতে মাত্র একজন মেয়রপ্রার্থী থাকায় সেখানে তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন।
তাই বুধবার এই পৌরসভাগুলোতে মেয়র পদে ভোট দিতে হয়নি ভোটারদের। তবে কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ হয়েছে।
বিনা প্রতিন্দ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত এই মেয়রদের সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের।
তারা হলেন- নোয়াখালীর চাটখিলে মোহাম্মদ উল্লাহ, গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় আহম্মদ হোসেন মীর্জা, পিরোজপুরে হাবিবুর রহমান মালেক, জামালপুরের মাদারগঞ্জে মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবির, ফেনীতে হাজী আলাউদ্দিন, পরশুরামে নিজামউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী সাজেল, চাঁদপুরের ছেংগারচরে মো. রফিকুল আলম জর্জ।
এদের সঙ্গে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯৪ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার ভোটগ্রহণের মধ্যে সংঘর্ষের পর নরসিংদীর মাধবদী পৌরসভায় ভোট স্থগিত হয়েছে।
ফলে গণনা শেষে ২২৬টি পৌরসভায় মেয়র পদে ভোটের ফলাফল আসবে।
দলীয় প্রতীকে প্রথম পৌর নির্বাচনে অনেক স্থানে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে বিএনপির অভিযোগ।
তবে স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে সাতজনের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়াকে ‘অস্বাভাবিক’ মনে করে না নির্বাচন কমিশন।
তাদের বিনা প্রতিন্দ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেছিলেন, “অনেক এলাকায় কেউ বেশি জনপ্রিয় হতে পারে, কেউ প্রার্থী হতে অনীহা প্রকাশ করতে বা কাউকে ছাড় দিতে পারে। সেক্ষেত্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঘটতে পারে।”
“কেউ অভিযোগ না করলে বা অভিযোগ না পেলে, অস্বাভাবিক কিছু না ঘটা পর্যন্ত আমাদের কাছে এটা স্বাভাবিক।”
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৯:২৩ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫, বুধবার
এমআরআর