ভাতার আওতায় আসছে আরও ২ লাখ ৯ হাজার নারী-শিশু

সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচিকে সর্বোত্তম বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করে এবারের বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করেছে সরকার।

এ কর্মসূচিকে প্রাধান্য দিয়ে গত অর্থবছরে ছিল ২০২১-২২ অর্থবছরের উপকারভোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ৪৫ হাজার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১২ লাখ ৫৪ হাজারে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছেন

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এতে উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়বে ২ লাখ ৯ হাজার। এ খাতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার ৯ জুন জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন,‘সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতাভুক্ত বয়স্ক ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা ও প্রতিবন্ধী উপবৃত্তি কার্যক্রমে এবং দারিদ্র্য নিরসন কর্মসূচির আওতায় পল্লী ও শহর সমাজসেবা কার্যক্রম, এসিডদগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে ৫০ % নারী এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা দুস্থ মহিলা ভাতা এবং পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রমে শতভাগ নারী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণের কার্যক্রমগুলোতে নারীর অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক থাকায় এগুলো বার্ষিক গড়ে ১.২০ লাখ নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধি, আত্মকর্মসংস্থান, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্তি, আয়বর্ধক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, নিজস্ব পুঁজি এবং সরকারি সম্পদ ও সেবা লাভের সুযোগ সৃষ্টিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখছে। সামাজিক অপরাধপ্রবণ নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ছয়টি কেন্দ্রের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ভরণ-পোষণ, প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এতিম শিশুদের খোরাকি ভাতা জানুয়ারি ২০২২ থেকে ৫শ টাকা বৃদ্ধি করে মাসিক জনপ্রতি চার হাজার টাকা হারে দেয়া হয়েছে।

শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত বিপন্ন শিশুদের সেবা প্রদান করে পরিবার বা নিকট আত্মীয় বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে পুন:একত্রীকরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা হচ্ছে।

বর্তমানে কেন্দ্রগুলোতে ২ হাজার ২৯১ জন (১ হাজার ৮৮ জন ছেলে এবং ১ হাজার ২০৩ জন মেয়ে) শিশু অবস্থান করছে।

৯ জুন ২০২২
এজি

Share