সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে ক্ষমতা বাড়ছে সরকারের

ফেসবুক-ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যখন যার যা খুশি, তাই সম্প্রচার করতে পারবে না। সরকারের দৃষ্টিতে ক্ষতিকর সম্প্রচারের বিষয়গুলো চাইলেই বন্ধ করে দিতে পারবে কর্তৃপক্ষ। এর দ্বারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ ও ভিডিও বন্ধ করতে পারব। যখনই প্রয়োজন হবে আমরা তখনই বন্ধ করতে সক্ষম হব।

বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, কুমিল্লার ঘটনায় ৩০০ লিংকে রিপোর্ট করেছি। এবার আমরা ৩৬৪টি লিংক বন্ধ করেছি। ফেসবুকের সঙ্গে ২০১৮ সাল থেকে আলোচনা চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমি এখন পর্যন্ত ফেসবুকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি। বাংলাদেশে তাদের বিশাল বাজার। আশা করছি, বাংলাদেশের পরিস্থিতি ফেসবুক-ইউটিউব বুঝতে শুরু করেছে।

টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যেভাবে চাপ দেওয়া দরকার সেই চাপ অব্যাহতভাবে দেওয়া হচ্ছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে তারা ভ্যাট দেয়।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমি তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা কুমিল্লার বিষয়ে ফেসবুককে খুব কড়া ভাষায় অবহিত করেছি। যাতে মাথা ব্যথার কারণে মাথা কেটে ফেলতে না হয়।

তিনি বলেন, মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা সমাধান নয়। ওষুধ দিয়ে সমস্যা সমাধান করতে হবে। এক সময় গুজব রটানো কঠিন হয়ে যাবে।

বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহেনুর মিয়া।

Share