Home / জাতীয় / রাজনীতি / সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর নাসিরের ১৩ বছর ও ছেলের ৩ বছর কারাদণ্ড বহাল
মীর নাসিরের

সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর নাসিরের ১৩ বছর ও ছেলের ৩ বছর কারাদণ্ড বহাল

দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর নাসির উদ্দিনকে ১৩ বছর ও তার ছেলে মীর হেলালকে তিন বছর সাজা দিয়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায় বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।

৬ জানুয়ারি সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে তিন মাসের মধ্যে তাদের সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। খবর দেশ রুপান্তরের।

গত বছরের ১৯ নভেম্বর দুজনের করা আপিল খারিজ করে এ রায় দেয় বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ। রায়ে বলা হয়েছিল, হাইকোর্টের এ রায়ের অনুলিপি বিচারিক আদালতে পৌঁছার পর তিন মাসের মধ্যে তাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা ওই সময় জানিয়েছিলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে দুজন আপিল করতে চাইলে আগে বিচারিক আদালতে তাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ মীর নাসির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুজনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২২ লাখ ১১ হাজার টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপন ও ২৯ কোটি ২৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় অভিযোগপত্রে।

ওই বছরের ৪ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত মীর নাসিরকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ১০ বছর ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে আরও ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়। পাশাপাশি তাকে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর তাকে দুর্নীতিতে সহযোগিতা করার অভিযোগে ছেলে মীর হেলালকে ৩ বছরের কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত।

এরপর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হলে, শুনানি নিয়ে ২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাসির ও একই বছরের ২ আগস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেয় হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের ওই রায় বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক।

শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৪ জুলাই দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট দুজনের সাজা বাতিল করে যে রায় দিয়েছিল সেটি বাতিল করে সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে মামলাটি হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টে শুনানি শেষে এ রায় হয়।

বার্তা কক্ষ