জীবনকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ, হতাশাই জীবনের শেষ কথা নয়। এটি কাটিয়ে উঠতেই হবে। সাফল্যের স্বর্ণচূড়া ছুঁয়ে দেখতে হবে।
এ জন্য আপনার জীবনকে যদি নতুন করে সাজাতে চান তাহলে চারটি প্রশ্ন করুন নিজেকে।
কী ধরনের বিষয় নিয়ে চিন্তা করা উচিত
কোনো কোনো বিষয় রয়েছে যা যত বেশি চিন্তা করবেন ততই জটিল হয়ে পড়বে। তাই সব বিষয় নিয়ে চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই। ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা, যা সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করে, কেবল সেগুলোই মস্তিষ্কে রাখা উচিত। যেসব চিন্তা আপনার মনের নেতিবাচকতাকে উসকে দেয়, সেসব চিন্তা মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
এ জন্য সবার আগে প্রয়োজন আপনার চিন্তা-ভাবনার বিষয়ে একটু মনোযোগী হওয়া। মনের ভেতর কোন বিষয়গুলো রয়েছে, তা একটু নিরিবিলিতে চিন্তা করে বের করুন। আপনি কি কোনো বিষয়ে ভীত? ক্রমাগত একটি বিষয় ভেবে চলেছেন? আপনার চিন্তা-ভাবনায় কী অস্বাভাবিক কোনো বিষয় রয়েছে? এসব বিষয় নির্ণয় করা সম্ভব হলে অপ্রয়োজনীয় চিন্তাগুলো আপনার মন থেকে দূর করা সহজ হবে।
কার কথা গুরুত্ব দিচ্ছেন
আপনি কি কারো কথায় প্রভাবিত হচ্ছেন? যদি তা হয়, তাহলে তার কথা আপনার জন্য কতখানি গুরুত্বপূর্ণ কিংবা শোনা উচিত কিনা, তা ভেবে নিন। আপনার ব্যক্তিগত সম্পর্ক, জীবনযাত্রা কিংবা পেশাগত বিষয় সব সময়ই আপনার নিজস্ব নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত।
এ ক্ষেত্রে কারো পরামর্শ নিতে হলে তার সে যোগ্যতা আছে কিনা, তা ভেবে নিন। যদি সঠিক মানুষ নয় বরং অন্য কারো কথায় প্রভাবিত হওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে তা নির্ণয় করুন। এ বিষয়টি যদি আপনার জীবনকে প্রভাবিত করে তাহলে তা যেন আর না হয় সে জন্য সচেষ্ট হোন।
কোনো বিষয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া কেমন
যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে আপনার প্রথম প্রতিক্রিয়া কেমন হয় তা লক্ষ করুন। আপনি কি অন্যদের তুলনায় অস্বাভাবিক কোনো আচরণ করেন?
আপনার মধ্যে পরিস্থিতি সামলানোর তুলনায় তা থেকে পালিয়ে যাওয়ার কোনো প্রবণতা রয়েছে কী? আপনার প্রতিক্রিয়া যদি হয় আবেগগতভাবে প্রতিক্রিয়াশীল তাহলে তা জেনে নিন। এসব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে থাকতে পারে রাগ, উদ্বেগ ও বিরক্তির মতো বিষয়।
আপনার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন বিষয় কতখানি মেনে নিয়েছেন তার অনেক বিষয় বোঝা যায়।
কোনো পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক না কেন, তা আপনার মেনে নেয়া উচিত। এতে আপনি পরিস্থিতি সামলে নিতে পারবেন। তাই পরিস্থিতি সামলানোর জন্য আপনার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া কেমন হয় তা জেনে নিন। প্রয়োজনে নিজেকে সংশোধন করুন।
অন্যদের কীভাবে গ্রহণ করেন
অন্য মানুষের প্রতি আপনার যেমন আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে অন্যরাও আপনার প্রতি অনুরূপ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করবেন। এ কারণে আপনার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি জেনে নেয়া প্রয়োজন। মানুষের প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কি হতাশাজনক? আপনি কোনো অপরিচিত মানুষের সঙ্গে কি চোখে চোখ রেখে তাকান? নাকি নিজের বৃত্তের ভেতর আবদ্ধ থাকেন? এ বিষয়গুলো জেনে নেয়া খুবই প্রয়োজন।
আপনি যদি অন্যের দিকে ভালোভাবে তাকান এবং সবাইকে সাদরে গ্রহণ করেন তাহলে তা আপনার আত্মবিশ্বাস অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে। এটি আপনার সঙ্গে অন্যদের ভালো বোঝাপড়া সৃষ্টি করবে।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২:০০ পিএম, ৯ জুলাই ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ