মতলব উত্তর উপজেলায় সাধু বাবা সেজে এক পরিবারের ৩জনকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনা ঘটেছে। ৪ নভেম্বর বুধবার রাতে উপজেলার চৌমহনী উত্তর দুর্গাপুর গ্রামের শীল বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
অচেতন হওয়া ব্যক্তিদের বৃহস্পতিবার ভোর রাতে স্বজনরা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল (সদর) হাসপাতালে এনে ভর্তি করিয়েছেন। তারা হলেন- দুর্গাপুর গ্রামের শীল বাড়ির খোকন শীল (৪৫), তার স্ত্রী ঝর্ণা শীল (৩৯) ও ছেলে মিঠুন শীল (২০)। সম্পর্কে তারা স্বামী-স্ত্রী ও ছেলে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের কারোর’ই জ্ঞান না ফেরায় তাদের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান চিকিৎসক। উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
অচেতন খোকন শীলের ভাবি বাসনা শীল ও অন্যান্য স্বজনরা জানান, গত দু’-তিন ধরে একজন বৃদ্ধ লোক মুখে দাড়িসহ শুধুমাত্র গামছা পরিহিত লোকনাথের বেশে সাধু বাবা সেজে ঘুরাঘুরি করছিল।
ঘটনার দিন রাতে ওই ব্যক্তি খোকন শীলের ঘরে যান এবং তাদের পরিবারের উন্নতির জন্য ঝাড়ফোঁক ও জলপড়া দেন। রাতে খাওয়ার কথা বললে তিনি কিছুই খাননি। পরে তাকে রাতে ওই ঘরেই থাকতে দেয়া হয়।
রাত ৪টার দিকে বাসনা শীল প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে বাইরে বেরুলে দেখেন- তার দেবর খোকন শীলের ঘরের দরজা খোলা। তিনি তাদেরকে ডাকতে ডাকতে ঘরে ঢুকে দেখেন তারা সবাই অজ্ঞান হয়ে আছেন। ঘরের স্টিলের আলমারি, কম্বলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র এলোমেলোভাবে রয়েছে। ওই সাধু বাবাও ঘরে নেই।
পরে তিনি ডাক-চিৎকার করলে বাড়ির অন্যান্য লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে বুঝতে পারেন ঝর্না শীলের কানের দুল, নাক ফুল নেই। তারা জানান, ঘরের আর কি কি জিনিসপত্র খোয়া গেছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারছেন না স্বজনরা।
প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি, ৫ নভেম্বর ২০২০