বিনোদন

চাঁদপুরের কৃতি সন্তান অভিনেতা সাদেক বাচ্চু আর নেই

চলচ্চিত্র অভিনেতা, নাটক রচয়িতা, নাট্য নির্দেশক ও ডাক বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাদেক বাচ্চু আর নেই।  ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল পৌনে ১১টায় ঢাকার মহাখালী ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

১৯৫৫ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন সাদেক বাচ্চু। তাঁর পৈত্রিক নিবাস চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জে। তার আসল নাম মাহবুব আহমেদ সাদেক। হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০নং গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম দেশগাঁও আতাউদ্দিন সর্দার বাড়ীর মৃত নূর মোহাম্দ এর ছেলে । গ্রাম থেকে স্বাধীনের পর পরই ঢাকায় উঠেন। ৬ বোনের এক ভাই ছিলেন সাদেক বাচ্ছু।

বাড়িতে কবরের জায়গা ছাড়া তেমন কোন সম্পদ নেই। বরণ্য এ অভিনেতাকে ঢাকায় মাটি দেওয়া হবে জানান গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন বাচ্ছু। তার মৃত্যুর খবরে গ্রামের বাড়ীতে শোকের মাতাম দেখা যায়।

তিনি সাদেক বাচ্চু মঞ্চনামে সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পরিচিতি লাভ করলেও মঞ্চ, বেতার, টেলিভিশনে অভিনয় করেছেন।

এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে করোনায় আক্রান্ত সাদেক বাচ্চুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (আয়শা মেমোরিয়াল হাসপাতাল) আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।

আরও পড়ুন- একসঙ্গে ৫ সিনেমায় সুযোগ পাবো ভাবিনি: দীঘি

শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় সাদেক বাচ্চুকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সাদেক বাচ্চুর পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, গত রোববার সন্ধ্যা থেকেই অস্বস্তি লাগছিল প্রবীণ এ অভিনেতার। পরে শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকায় রাতে সাড়ে ১১টায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে তার চিকিৎসা চলছে, অক্সিজেনের সাহায্য শ্বাস–প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফলে পজিটিভ আসে। সে সময় নিয়ে থেকে ঢামেকে তার চিকিৎসা চলছিল। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে অভিনেতাকে ঢামেক থেকে ইউনিভার্সালে স্থানান্তরিত করা হয়।

১৯৮৫ সালে শহিদুল আমিন পরিচালিত রামের সুমতি-তে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। ২০১৮ সালে খলচরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

ঢাকা ব্যুরো চীফ, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

Share