চাঁদপুরের মতলবে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সাথী ফসলের চাষ। একইসঙ্গে একাধিক ফসলের চাষাবাদ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। কৃষি জমিতে সাথী ফসলের চাষ করে অধিক লাভবান হওয়ায় অনেকেই ধান চাষ বাদ দিয়ে সাথী ফসলের দিকে ঝুঁকছেন।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এবার মতলব উত্তর উপজেলায় ১শত ৮০ হেক্টর জমিতে সাথী ফসলের আবাদ হয়েছে।
সাথী ফসল হিসাবে এখানে আখের, মিষ্টি আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ঢেঁড়শ, শিম, বরবটি, ধনিয়া পাতা, মরিচ, মুলা, বেগুন, লালশাক, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি একটার সাথে আরেকটা চাষ করে থাকি।
সরেজমিনে দেখা যায় হানিরপাড়, গজরা, ছেংগারচর, পাল্লালদি, নিশ্চিন্তপুর, সুজাতপুর, নাউরী,সাহেব বাজার ফতেপুর,বেলতলি,চরাঞ্চলসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশি লাভের আশায় বিস্তীর্ণ জমিতে কৃষকরা মূল ফসলের সাথে বিভিন্ন রকমের সাথী ফসলের চাষ করছেন ।
উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার আদুরভিটি গ্রামের নূরনবী চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, এ বছর তিনি প্রায় ৬৩ শতাংশ জমিতে সাথী ফসল চাষ করেছেন। ভুট্টা সঙ্গে ধনিয়া পাতার চাষ করছেন। ধনিয়া পাতা বিক্রি করে ফেলছি। এবার ভুট্টার পরিচর্যা করছি। ধনিয়া পাতার বিক্রির টাকাটা বোনাস পেলাম। ঠাকুরচর গ্রামের কৃষক তবদিল হোসেন মিঝি ৮০শতাংশ জমিতে আখের সঙ্গে চাষ করেছেন ধনিয়া, টমেটো ও মরিচ। পর পর একাধিক ফসল চাষ করে তারা লাভবান হয়েছেন।
কৃষক মিজানুর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে জানান,স্থানীয় কৃষি অফিসের সাথে পরামর্শ করে সাথী ফসলের চাষ শুরু করি। দেখা গেছে ধান চাষে যে টাকা পাওয়া যায়, তার চেয়ে আরও দ্বিগুণ লাভ পাওয়া যায় সাথী ফসল চাষে। যার ফলে একই জমিতে একাধিক ফসল উৎপাদন করে থাকি আমরা। সাথী ফসল চাষে জমি তৈরি, পরিচর্যা, সার প্রয়োগ ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে গেলে যেমন সময় কম লাগে তেমনি সব কিছু একসাথে করতে পারায় খরচও কম লাগে। লাভ পাওয়া যায় দ্বিগুণ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সালাউদ্দিন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, মতলব উত্তরে জমিতে সাথী ফসল চাষ হচ্ছে। এর পরিমান বৃদ্ধির জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সাথী ফসল চাষাবাদের প্রতি কৃষকদের আগ্রহও অনেক।’ কৃষক লাভবান হওয়া সাথী ফসলের চাষ কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ১৫ মার্চ ২০২২