কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সাচার ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও হাজারো মানুষ গড়ার কারিগর মো: নুরুল আমিনের অবসরজতি বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
৩১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীদের আয়োজনে সদ্য বিদায়ী অধ্যক্ষ মো: নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মো: মফিজুল ইসলামের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কলেজ গর্ভনিংবডির বিদ্যুৎসাহী সদস্য কামরুন্নাহার ভূইঁয়া।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ মহসীন কবীর,সহকারী অধ্যাপক আবু ইউসুফ সরকার পবন,চন্দ্রনা সাহা,অর্পনা লোধ,(অব:) সমীরণ চন্দ্র ঘোষ,প্রভাষক শাহাদাত হোসেন,ফারুকুজ্জামান,মনিরুজ্জামান,ছালেহ আহমেদ,এএফএম নশির আলম মিয়া,মো: জসিম উদ্দিন,ইসমাইল হোসেন,মো: ইসমাইল,সাচার উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বটু কৃষ্ণ বসু,কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক ভৌমিক।
বক্তব্য রাখেন কচুয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিসান আহমেদ নান্নু,কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল মাহমুদ ও বর্তমান সাধারন সম্পাদক প্রদীপ চন্দ্র প্রমুখ। এসময় শিক্ষকবৃন্দ স্মৃতিচারণ বক্তব্য রাখতে গিয়ে সকলেই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। সকল শিক্ষকবৃন্দ প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মো: নুরুল আমিনকে ফুল ও উপহার সামগ্রী দিয়ে অশ্রæ সজল নয়নে বিদায় দেন।
জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার মাঝিগাছা গ্রামের অধিবাসী মো: নুরুল আমিন তৎকালীন সময়ে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে এমপিওভ‚ক্ত শিক্ষক পদ ছেড়ে এবং আইনজীবী হিসেবে সনদ থাকার পরও সাচার এলাকায় উচ্চ শিক্ষার চাহিদা বিস্তার মেটাতে জীবনের সর্বত্র বিলিয়ে সাচার ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠার লক্ষে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ওই কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে দীর্ঘ কয়েক বৎসর বিনা বেতনে শিক্ষকতা করেন। পাশাপাশি তিনি তৎকালীন জোট সরকারের আমলে প্রভাবশালী এক নেতার ইশারায় হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হন।
তিনি ১৯৮৮ সালের ১নভেম্বর প্রভাষক পদে (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ) হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালের ১৯ মার্চ পূর্নাঙ্গ অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। সৎ অধ্যক্ষ হিসেবে পরিচিত থাকা নুরুল আমিন পরবর্তীতে ২০০২ সালে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে তাকে অধ্যক্ষ পদ ছেড়ে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বাহিরে ছিলেন।
পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুনরায় তাকে স্বপদে বহাল করা হয়। কিন্তু তিনি ২০০৯ সালে অধ্যক্ষ পদে যোগদান করলেও আইনী জটিলতার কারনে ২০১১ সালে নতুন করে তার এমপিভ‚ক্ত হয়। ফলে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ চাকরি থেকে তিনি অবসর গ্রহন করলেও টানা ১০ বছর পূর্ন না হওয়ায় তিনি এককালীন সুযোগ সুবিধা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এককালীন সুযোগ সুবিধাসহ সকল অবসরজনিত সুবিধা পেতে সংশ্লিষ্ট দফতরের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন অধ্যক্ষ নুরুল আমিন ও তার পরিবার।
স্টাফ করেসপন্ডেট,৩১ ডিসেম্বর ২০২০