চাঁদপুর মাছ ঘাট দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম মাছ ঘাট হিসেবে স্বীকৃত। এই মাছ ঘাটে প্রতিদিন কয়েক হাজার মণ ইলিশ আমদানি হচ্ছে। গত ১৯ মে মধ্যরাত থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাগরে ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও জেলে সাগরে দেদারসে ইলিশ ধরছেন। সাগরের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে চাঁদপুর বড়স্টেশনের মৎস্য আড়তগুলোতে।
আর সেই ইলিশ কয়েকদিন মজুত রেখে ট্রলারে করে চাঁদপুর বড়স্টেশনের মৎস্য আড়তে নিয়ে আসা হচ্ছে। এদিকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় রুপালি ইলিশের তেমন দেখা পাচ্ছে না জেলেরা। এতে করে সাগরের ইলিশেই শেষ ভরসা মৎস্য ব্যবসায়ীদের।
অনেকে চাঁদপুরের রুপালি ইলিশ ভেবে সাগরের ইলিশ ক্রয় করে প্রতারিত হচ্ছেন। দক্ষিণাঞ্চলীয় লালচে রঙের ইলিশকে লবণ ও বরফ দিয়ে ঘসে চকচকে করে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশ বলে বিক্রি করেন অনেক ব্যবসায়ী।

ভোলার মনপুরা থেকে বড়স্টেশন মাছঘাটে আসা মৎস্য ব্যবসায়ী মফিজুর রহমান বলেন, ভোলার মনপুরা থেকে প্রায় ৩৫-৪০ মণ মজুতকৃত ইলিশ চাঁদপুর মাছঘাটে নিয়ে এসেছি। এই মাছগুলো ভোলার মেঘনার। সাগরের মাছ আমরা বিক্রি করি না। কয়েক দিনের মজুতকৃত ইলিশ আনা হয়েছে।
চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে আ. ছাত্তার খান ফিশ এজেন্টের মৎস্য ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন খান বিপ্লব বলেন, বর্তমানে পদ্মা-মেঘনার ইলিশ খুবই কম। চাঁদপুরে পদ্মার ১ কেজি ৮শ গ্রামের ইলিশ মণপ্রতি ৮০ হাজার ও ১ কেজি সাইজের ইলিশ ১৩শ থেতে ১৪শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাগর এলাকায় কিছু অসাধু জেলে ইলিশ ধরে থাকে, আর সেগুলো চাঁদপুরে নিয়ে আসা হয়। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার পূর্বের কিছু ইলিশও এখন আনা হচ্ছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে ঘন ঘন বৃষ্টিপাত হলে চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় ইলিশের দেখা মিলবে। হয়তো আর এক দেড় মাস পরেও চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘানায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাওয়া যাবে।
চাঁদপুরে মাছঘাটে আসা সাগরের ইলিশের প্রসঙ্গে এ মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, সাগর এলাকায় জেলেদের নৌকা ও ট্রলার জব্দ করে রাখা হয়েছে। এরপরেও কিছু অসাধু জেলে সাগরে মাছ শিকার করছেন। চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে কিছু সাগরের ইলিশ আসছে। সেগুলো সাগরে নিষেধাজ্ঞার সময়ে ধরছে কি না, তা আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।
প্রতিবেদক:শরীফুল ইসলাম,২৭ মে ২০২১
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur