চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার বহুল আলোচিত সাবেক এমপি এম রফিকুল ইসলামের পিএস ও উপজেলা যুবলীগের সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক খবির হোসেন হত্যাকান্ডের ৬ বছর পূর্ণ হলো।
বিগত ২০১২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা গ্রীন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ৬ বছর অতিবাহিত হলেও বিচারকার্য এখনো শেষ হয়নি।
তবে মামলার ৩৮ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের স্বাক্ষগ্রহন হয়েছে বলে মামলার বাদী মো. মোশারফ হোসেন জানান। এদিকে খবির মারা যাওয়ার পর আদৌ তার পরিবারেরও কেউ খোঁজখবর নিচ্ছেনা। খবিরের গ্রামের বাড়ি মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের নওগাঁও।
সে গত ২০১২ সালের ২৯ আগস্ট রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টায় মতলব পৌরসভার টিএন্ডটি এলাকায় কতিপয় দুষ্কৃতকারীদের অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে ঢাকা গ্রীন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে লাইফ সাপর্টে থাকার ৪ দিন পর মারা যায়।
মতলব দক্ষিণ থানা সংলগ্ন সরকারী জায়গার লীজ এবং দলের আভ্যন্তরীন কোন্দলের জের ধরে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় হামলায় মারা যায় খবির। হামলার ঘটনায় খবির হোসেনের বড় ভাই মোশারফ হোসেন প্রধান বাদী হয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি হত্যার চেষ্টা মামলা দায়ের করে। খবির হোসেন মারা যাওয়ার পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।
এ হত্যামামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ মিজানুর রহমান পাটোয়ারী। তিনি দশ মাসের মধ্যেই মামলার তদন্তপূর্বক ১১ জনকে আসামী করে একটি চার্টশীট দাখিল করেন আদালতে।
এ মামলার প্রত্যেক আসামী বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হলেও বর্তমানে সবাই জামিনে রয়েছে। মামলার বাদী মোশারফ হোসেন জানান, আদালতে মামলার স্বাক্ষীদের সাক্ষ্যগহণ চলছে। এরইমধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।
নিহত খবিরের স্ত্রী ফাতেমা জানান, খবিরকে মারার পর দলীয় নেতাকর্মীরা আমার পরিবারের খোঁজখবর নিলেও বর্তমানে কেউই আমাদের খোঁজখবর রাখে না।
তিনি আরও জানান, খবির মারা যাওয়ার ছয় মাস পর তার একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়। তার নাম রাখা হয় ফারহানা হোসেন তাহা। এছাড়া তার ১৫ বছরের আর একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার নাম ফাহমিদা হোসেন উম্মি। সে বর্তমানে এইচএসসিতে লেখাপড়া করছে। স্ত্রী ফাতেমা বেগম ঢাকা আইসিডিডিআরবি’তে কর্মরত। তিনি খবির হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
প্রতিবেদক- মাহফুজ মল্লিক