Home / জাতীয় / রাজনীতি / সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন
সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন

সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন

আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর আপিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এরআগে, রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম বলেন, “রিভিউ দায়েরের যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আজই আবেদন করা হতে পারে।” তারই পরিপেক্ষিতে এই আবেদন করা হলো।

আপিলের রায়ের ১৫ মাস পর ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ আদালত পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করলে রাষ্ট্রপক্ষের রিভিউ আবেদন করার পথ তৈরি হয়।

নিয়ম অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর ১৫ দিনের মধ্যে তা পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারে রাষ্ট্র বা আসামিপক্ষ। সেই হিসাবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।

যুদ্ধাপরাধ মামলায় এই প্রথম রাষ্ট্রপক্ষ কোনো আসামির সাজা বাড়ানোর জন্য প্রথম পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে যাচ্ছে।

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথম অভিযুক্ত ব্যক্তি হিসাবে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাঈদীর বিচার শুরু হয়েছিল ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর। হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্র“য়ারি তাকে মৃত্যুদ- দেয় ট্রাইব্যুনাল।

এরপর সাঈদী আপিল করলে গতবছর ১৭ সেপ্টেম্বর পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে যে রায় দেয়, তাতে সাজা কমে আমৃত্যু কারাদ-ের আদেশ আসে।

ওই রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই জামায়াত নেতার ছেলে মাসুদ সাঈদী ও আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেছিলেন, তারাও রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পেলে পুনর্বিবেচনার আবেদন করে খালাস চাইবেন।

আপিলের রায়ে ১০, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগে হত্যা, নিপীড়ন, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ ও ধর্মান্তরে বাধ্য করায় সাঈদীকে ‘যাবজ্জীবন’ কারাদ- দেয়া হয়। যাবজ্জীবন বলতে ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর সময় পর্যন্ত’ কারাবাস বোঝাবে বলে ব্যাখ্যা দেয় আদালত।
এছাড়া ৮ নম্বর অভিযোগের একাংশের জন্য সাঈদীকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদ- এবং ৭ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর কারাদ-ের আদেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।

এর মধ্যে ৮ ও ১০ নম্বর অভিযোগে ইব্রাহিম কুট্টি ও বিসাবালীকে হত্যা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরে আগুন দেয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাঈদীর ফাঁসির রায় দিয়েছিল।

আপিল বিভাগ থেকে এ পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধ মামলার যে পাঁচটি রায় এসেছে, তার মধ্যে কেবল সাঈদীর ক্ষেত্রেই রিভিউ বাকি রয়েছে।
বাকি চার মামলায় জামায়াতে ইসলামীর দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা ও মোহাম্মদ কামারুজ্জামা, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রিভিউ খারিজ হয়ে যাওয়ায় তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক ।। আপডেট : ০৩:৫০ এএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৫, মঙ্গলবার

ডিএইচ