জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে নাশকতার তিন মামলায় জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সাংবাদিক, শারিরীক অসুস্থতা ও এ সব মামলায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকা এবং এফআইআরে নাম না থাকার বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শওকতের আইনীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা।
তিনি বলেন, ‘আমরা আদালতে বলেছি, শওকত মাহমুদ জাতীয় প্রেসক্লাবের দুবারের সাবেক সভাপতি, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এ মামলাগুলোতে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রমাণ নেই। আদালত আমাদের আবেদনের কথা বিবেচনায় নিয়ে জনাব শওকত মাহমুদ জামিন দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আদালত এই সাংবাদিক নেতাকে ছয় মাসের অন্তবর্তিকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন। একইসঙ্গে কেন তাকে স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেছেন আদালত।’
এ বিষয়ে দায়ের করা এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মোরসেদ আল মামুন ও মাসুদ রানা।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ১,৩ ও ১০ জানুয়ারী রাজধানীর রমনা, খিলগাঁও ও রামপুরা থানায় গাড়ী পোড়ানো, পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মারা ও এসব নাশকতার কাজে হুকুমের অভিযোগ এনে তিনটি মামলা শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে দায়ের করে পুলিশ।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর নাশকতার মামলায় শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দফায় দফায় তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। তাকে এ পর্যন্ত মোট ২০টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি মামলায় তিনি জামিনে আছেন। বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক : আপডেট ০৩ : ৫০ পিএম, ০৯ নভেম্বর ২০১৫।