গত বছর এইচ এস সি ও সমমান পরীক্ষায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় ফলাফল ব্যাপক বিপর্যয় ঘটে। যে কারনে অভিভাবক থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বেড়ে যায়।
তা থেকে পরিত্রাণ পেতে চলতি এইচ এস সি পরীক্ষা কেন্দ্র নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে বৈঠকে বসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা।
উক্ত সিদ্ধান্তের আলোকে জানা যায়, চলতি পরীক্ষায় সকলের সহযোগিতায় পরীক্ষার্থীরা এক জন আরেক জনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে লেখবে। আর এ বিষয়টি টের পেয়ে সচেতন অভিভাবকরা মানতে নারাজ।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এবং মেয়ে পরীক্ষার্থীদের হিজাব পড়া অবস্থায় প্রবেশে বাধা শুনে গতকাল সোমবার এস এস পরীক্ষার প্রথম দিনে হাজীগঞ্জ পৌরসভার বলাখাল মুকবুল আহম্মেদ ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে কয়েক জন সাংবাদিক প্রবেশ করতে গেলে গেইট থেকে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে জানায়।
পরে কেন্দ্র সচিব প্রনোজিৎ কুমার দেব বলেন, সাংবাদিকদের বেলায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে। প্রবেশ করতে হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন দিন, তিনি অনুমতি দিলে আপনারা প্রবেশ করতে পারবেন।
পরে সাংবাদিকরা একাধিক বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়ার মোবাইলে ফোন দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে সাংবাদিকদের সামনে কেন্দ্র সচিব ফোন দিলে তাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফোন ধরেন এবং প্রবেশের অনুমতি দেননি বলে কেন্দ্র সচিব পনোজিৎ জানান।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাংবাদিক প্রবেশে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা ইউএনও এবং কেন্দ্র সচিবের অনুমতি পেয়ে উক্ত কেন্দ্র সচিবকে সাথে নিয়ে হল পরিদর্শন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিক্ষা নীতিমালার বাহিরে একক কোন ক্ষমতা প্রয়োগ করার সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকায় সচিব প্রনোজিৎ কুমার দেব জানান, ‘আমাদের ইউএনও স্যার বলেছেন কেন্দ্রে যেন কোন সাংবাদিক প্রবেশ না করে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে হিজাব অবস্থায় কেন্দ্রে প্রবেশ করার কোন সুযোগ নেই। আমরা মুখ খুলে মেয়ে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রের ভিতর প্রবেশ করিয়েছি এ বিষয়টা সত্য।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে একটু আরটু সমন্বয় করবে এটা স্বাভাবিক বিষয়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়ার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, পরীক্ষার্থীদের মনোযোগ না হারানোর কারনে সাংবাদিকদের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। হিজাব পড়ে আসতে পারবে তবে প্রবেশকালে মেয়েদের মুখোশ খুলতে হবে।’
পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা সমন্বয়ের বিষয়টি জানার মুহূর্তে তিনি লাইনটি কেটে দেন।
প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়