ফেনী প্রতিনিধি:
‘দৈনিক ফেনীর সময়’ পত্রিকার সহ-সম্পাদক রাশেদুল হাসানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের লস্করহাটে এ ঘটনা ঘটে।
আহত রাশেদ অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘নতুন ফেনী’র সম্পাদক ও স্থানীয় মোটবী ইউনিয়ন পরিষদ তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা। ২০০১ সালে একই কায়দায় সাংবাদিক টিপু সুলতানের ওপর হামলা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাংবাদিক রাশেদ ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রে কাজ করছিলেন। এ সময় লোকমান, মিন্টুসহ ৮-১০ জন ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মী তাকে জোরপূর্বক ট্যাক্সিতে তুলে মোটবী শাহাপুর স্বপ্ন সেতু সংলগ্ন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে কুপিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়। একপর্যায়ে তারা তাকে মৃত ভেবে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায়।
পরে আশপাশের লোকজন রাশেদকে উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার অসীম কুমার জানান, তার হাত-পাসহ সমস্ত শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
খবর পেয়ে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা হাসপাতালে ছুটে যান। হাসপাতালে রাশেদ সাংবাদিকদের জানান, হামলার সময় সন্ত্রাসীরা ‘ওপরের নির্দেশে’ এ হামলা চালানো হয় বলে জানায়।
এ ব্যাপারে জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক শুসেনচন্দ্র শীল বাংলামেইলকে জানান, লোকমান ও মিন্টু নামে যুবলীগের কোনো নেতাকর্মী মোটবীতে নেই।
এদিকে, ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক যতন মজুমদার ও ফেনী প্রেস ক্লাবের সদস্য মুহাম্মদ আরিফুর রহমান। তারা অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারীর নেতৃত্বে তার ক্লাস কমিটির (ব্যক্তিগত সন্ত্রাসী বাহিনী) ক্যাডাররা বার্তা সংস্থা ইউএনবির ফেনী জেলা প্রতিনিধি টিপু সুলতানকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়।