চাঁদপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এক সাংবাদিকসহ আরো ১৭ জনের করো শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ৬ জুন শনিবার আইইডিসিআর থেকে প্রাপ্ত ৫৭টি রিপোর্টের মধ্যে ১৭জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। বাকিগুলো নেগেটিভ।
আক্রান্ত ১৭ জনের মধ্যে হাজিগঞ্জ উপজেলার মৃত মোঃ জাহাঙ্গীর (৫৫) রয়েছেন। করোনা উপসর্গে নিয়ে গত ৩ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়েছিল। হাজিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের বাড়ি হাটিলা ইউনিয়নের বলিয়া গ্রামে।
এদিকে হাজীগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রিয় চাঁদপুরের সম্পাদক ও হাজীগঞ্জ উপজেলায় করোনায় মৃতদের দাফনে সহযোগিতাকারী সেচ্ছাসেবকদের একজন সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সিফাত। সিফাত করোনাভাইরাসের সংক্রমনের প্রথম থেকেই পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছিল। সেই সাথে এক নারীর করোনাভাইরাসে মৃত্যুর পর স্বজনরা এগিয়ে না আসায় সে প্রশাসনের সাথে কবর খুড়েছিল। অনেক মৃত ব্যক্তির দাফন কাজে সহযোগিতা করেছিল।
তবে সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সিফাত মুঠোফোনে চাঁদপুর টাইমসকে জানিয়েছেন, তার শারিরিক অবস্থা এখন অনেকাংশেই সুস্থ। উপসর্গ দেখা দেয়ায় তিনি গত ৩ জুন করোনা টেস্টের জন্যে নমুনা জমা দিয়েছেন। আজ (৬ জুন) সিভিল সার্জন অফিস থেকে তার রিপোর্ট পজেটিভ আসছে বলে জানানো হয়। তিনি উপসর্গ দেখা দেয়ার দিন থেকে এখন পর্যন্ত বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ও জেলার করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা. রুবেলের তত্ত্ববধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আরো পড়ুন- হাজীগঞ্জে করোনা উপসর্গে মৃত নারীর দাফনে বাধা : কবর খোঁড়েন পুলিশ কর্মকর্তা
এদিকে চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে চাঁদপুর সদরের ৬ জন, মতলব দক্ষিণের ৪ জন, হাজীগঞ্জের ৩ জন, ফরিদগঞ্জের ৩ জন, হাইমচরের ১ জন রয়েছেন। এর মধ্যে হাজীগঞ্জ উপজেলায় উপসর্গে মৃত মোঃ জাহাঙ্গীর (৫৫)ও রয়েছেন।
এ নিয়ে জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৭৫ জন। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জন।
সূত্র মতে, চাঁদপুরে জেলায় বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ২৭৫ জনের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ১৩৫ জন, ফরিদগঞ্জে ৪৪ জন, হাজীগঞ্জে ২২ জন, মতলব দক্ষিণে ২০ জন, শাহরাস্তিতে ১৯ জন, কচুয়ায় ১৬ জন, মতলব উত্তরে ১৩ জন ও হাইমচরে ৬জন।
এছাড়া জেলায় মোট ২১ জন মৃতের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ৬জন, কচুয়ায় ৪জন, ফরিদগঞ্জে ৪জন, হাজীগঞ্জে ৪জন, মতলব উত্তরে ২জন ও শাহরাস্তিতে ১জন।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ৬ জুন ২০২০