সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতিটি আসনের জন্য লড়াই করছেন ১শ ৫৮ জন প্রার্থী। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রানুসারে, ৩০ আগস্ট অনলাইন আবেদনের শেষ দিন পর্যন্ত ১৯ লাখ প্রার্থীর আবেদন জমা পড়েছে।
এ বিষয়ে ডিপিই মহাপরিচালক আবু হেনা মো.মোস্তফা কামাল জানান, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে আবেদন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ১ আগস্ট ২০১৮ থেকে শুরু হয়ে ৩০ আগস্ট ২০১৮ পর্যন্ত এ আবেদন প্রক্রিয়া চলে।
মহাপরিচালক আবু হেনা বলেন, ১২ হাজার সরকারী শিক্ষক নেয়া হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনেকের আগ্রহ থাকায় সারাদেশে ১৮ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৭ আবেদন জমা পড়ে। স্বচ্ছতার সঙ্গে এ নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আগামি এক মাসের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার সময় ঘোষণা করা হবে। এ সময়ের মধ্যে প্রার্থীদের প্রবেশপত্র ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাজ শেষ করা হবে। ডিপিই ওয়েবসাইটে dpe.teletalk.com.bd প্রবেশপত্র ও যাবতীয় নির্দেশনা দেয়া হবে।
৩০ জুলাই ২০১৮ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনলাইনে প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবে ১ আগস্ট বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ৩০ আগস্ট রাত ১২ টা পর্যন্ত।
সহকারী শিক্ষক পদে আবেদনের ক্ষেত্রে পুরুষ প্রার্থীদের যোগ্যতা কমপক্ষে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। আবেদনকারীর শিক্ষাজীবনে সব পরীক্ষায় কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা বিভাগ বা সমমানের জিপিএ থাকতে হবে। তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয়।
সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স ১৮-৩০ বছর হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর। পার্বত্য তিন জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান ব্যতীত বাংলাদেশি নাগরিকরা পদগুলোতে আবেদন করতে পারবে।
জানা যায়, বর্তমানে সারাদেশে ৬৪ হাজার ৮২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২০ হাজার স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। আর ২৩ হাজারের মতো সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ইতিমধ্যে ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নতুন এ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আরো ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
বার্তা কক্ষ