টিআইবি’র সেবা খাতে দুর্নীতির জাতীয় খানা জরিপে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত বিবেচিত হয়েছে পাসপোর্ট অফিস। আর দ্বিতীয় অবস্থানে আছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা।
রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে মানুষের সচেতনতা সত্ত্বেও দুর্নীতি কমছে না বলে মনে করে টিআইবি। উচ্চতর পর্যায় থেকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়া না হলে দুর্নীতি কমানো সম্ভব হতো বলে মনে করেন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।
২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৫’র অক্টোবর পর্যন্ত বছরব্যাপী পনের হাজার ২০৬ টি বাড়ি বা খানাতে পরিচালিত জরিপে ১৫ টি খাত থেকে তারা কী ধরণের সেবা পেয়েছেন তা তুলে আনা হয় টিআইবি’র জরিপে। গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি জানায়, ২০১৫ সালে সেবাগ্রহণের বেলায় ৬৮ শতাংশ মানুষ দুর্নীতির শিকার হয়েছে। আর ৫৮ শতাংশকে বিভিন্ন সেবা পাওয়ার জন্য ঘুষ দিতে হয়েছে। যার পরিমাণ আট হাজার আটশ’ একুশ কোটি টাকারও বেশি। এই ঘুষের পরিমাণ বাংলাদেশের জিডিপি’র শূন্য দশমিক ছয় শতাংশ এবং জাতীয় বাজেটের তিন দশমিক সাত শতাংশ। টিআইবি মনে করে, যারা দুর্নীতির কারণে লাভবান, রাষ্ট্র তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ না দেয়ার কোন বিকল্প নেই। মানুষের প্রাত্যহিক জীবন দুর্নীতির সাথে চলছে, যাকে উদ্বেগজনক মনে করছেন টিআইবি চেয়ারপার্সন।
অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, ‘দুর্নীতির বড় কারণ জবাবদিহিতার অভাবই, আর একারণেই দুর্নীতির চক্র ভাঙা যাচ্ছে না। (বাংলাভিশন)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২:৩০ এএম, ৩০ জুন ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ