ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল কয়েকদিন ধরে হাঁড়কাপানো শীতের কবলে। এ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে শনিবার। ঢাকায় রেকর্ড হয়েছে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা—১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে কাঁপছে রাজধানী ও এর আশপাশের বাসিন্দারা।
তাপমাত্রার নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যে কয়েকদিন ধরেই আকাশ থাকছে কুয়াশার কবলে। রোদের দেখা মিলছে কদাচিৎ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এ কারণে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে গেছে। ফলে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীত পড়েছে।
শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ভোর ৬টায় ঢাকা ও এর আশপাশের অঞ্চলে তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তার আগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে শুক্রবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়। সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এ ছাড়া এদিন তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বদলগাছীতে ৯ দশমিক ৮, দিনাজপুর ও যশোরে ১০, সাতক্ষীরায় ১০ দশমিক ২, ঈশ্বরদীতে ১০ দশমিক ৪, সৈয়দপুরে ১০ দশমিক ৫, রাজশাহী, ডিমলা ও কুমারখালীতে ১০ দশমিক ৬, বগুড়া ও বরিশালে ১০ দশমিক ৭, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জে ১০ দশমিক ৮ এবং নিকলিতে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে,সেখানে তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং সেটা অব্যাহত থাকতে পারে।
৭ জানুয়ারি ২০২৩
এজি