চাঁদপুর

ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরলেন চাঁদপুরের এম এ ওয়াদুদ

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ত্রিপুরা বিশ্ব বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে “বাংলাদেশের ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ” বিষয়ক সেমিনারে আলোচক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরলেন চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি ও সেক্টর কমান্ডার ফোরাম চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ।

ত্রিপুরা বিশ্ব বিদ্যালয়ের আয়োজনে বাংলাদেশ, জাপান, কলকাতা ও দিল্লিসহ প্রায় ১০টি দেশের বিশিষ্ট জনদের নিয়ে কয়েকটি বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে বিষয় ছিলো, বাংলাদেশের ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, সাংবাদিকতা, বিশ্ব অর্থনিতি, বিশ্ব রাজনিতি ও দ্বিপাক্ষিক আলোচনা।

ত্রিপুরা বিশ্ব বিদ্যালয়ের আমন্ত্রনে গত ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে “৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ” বিষয়ক সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে ৭১সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে আলোচনা করেন চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ। সেমিনারে তার সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মহাসীন পাঠান ও মুক্তিযোদ্ধা মৃনাল কান্তি সাহা।

সেমিনারে ত্রিপুরা বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপার্চায্য প্রফেসর অঞ্জন কৃষ্ণ ঘোষের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ত্রিপার ওকেডিআইএসসিডির পরিচালক প্রফেসর ভুপেন শর্মা। বক্তব্য রাখেন, জাপানের এসপিএফ এর প্রতিনিধি ইউই নাকামুরা, মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদ রহমান, কলকাতার গবেষক পরুষ উত্তম রায়, স্বাধীন বাংলা বেতার শিল্পী মুক্তিযোদ্ধা মানুষ পাল।

২৪ অক্টোবর দ্বিতীয় অধিবেশনে “সাংবাদিকতা” বিষয়ক সেমিনারে আলোচনা করেন সমকালের সম্পাদক গোলাম সারোয়ার, প্রথম আলোর যুগ্ম-সম্পাদক সোহরাব হোসেন, ঢাকার সাংবাদিক মনো রঞ্জন ঘোষাল, দিল্লির সাংবাদিক অভিজিত চন্দ্র, শুভ্রজিত ভট্রাচার্য্য ও প্রথম আলো আগরতলা প্রতিনিধি সাংবাদিক তরুন চক্রবর্তী। এই সেমিনারেও চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ, সহকারী কমান্ডার মহাসীন পাঠান ও মৃনাল কান্তি সাহা উপস্থিত ছিলেন।

২৫ অক্টোবর দুপুর ১২টায় ত্রিপুরা রাজ্য সভার স্পিকার পবিত্র কর এর আমন্ত্রনে রাজ্যসভা ভবনে সৈজন্য সাক্ষাত করেন। এসময় উভয় রাষ্ট্রের ঐতিহাসিক পটভূমি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরা রাজ্যের প্রসংশনিয়া ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে মান্যবর স্পিকার, ত্রিপুরা সরকার ও জনগণের প্রতি অকৃতিম ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধানিবেদন করা হয়।

একই দিন স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় ত্রিপুরার গর্ভনর বাংলাদেশী বংশদূত ও মহান ৭১’ রনাঙ্গেনের সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা কথাগত রায়ের সাথে সৈজন্য সাক্ষাত করে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অংশ নেন চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ, সহকারী কমান্ডার মহাসীন পাঠান ও মৃনাল কান্তি সাহা। এছাড়া একই দিনে ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশর হাইকমিশনার সাখাওয়াত হোসেনের আমন্ত্রনে মধ্যান্ন ভোজে অংশ নেন। এবং সবশেষ মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ত্রিপুরায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষন স্থান, আশ্রয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য স্থান পরিদর্শন করেন। এবং ত্রিপুরায় সংগ্রেস ভবন, কলেজ টিলা, এমএলএ ভবন, পিটিআই অফিস পরিদর্শন করেন। ২৬অক্টোবর দেশে ফেরার পথে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ও বিজিবি গার্ড অব অনারের মাধ্যমে বিদায় জানান।

প্রসঙ্গত, ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ব বিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে ২২ অক্টোবর চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ, সহকারী কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মহাসীন পাঠান ও মুক্তিযোদ্ধা মৃনাল কান্তি সাহা বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং ২৬ অক্টোবর দেশে ফিরে আসেন।

করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ ১০:৪৩ পিএম, ৩১ অক্টোবর, ২০১৭ মঙ্গলবার
ডিএইচ

Share