বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসে প্রধান অতিথি সিভিল সার্জন ডা.সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন‘ যক্ষ্ম ২শ’বছরের পুরনো একটি রোগ হলেও বর্তমানে এর সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা রয়েছে।সরকার বিনামূল্যে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদানে সব রকম ব্যবস্থা করেছে। সচেতনতার অভাবে এটি হয়তো কমছে না। তবুও স্বাস্থ্যবিধি পারন করে ২০৩৫ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশ থেকে যক্ষা বিদায করতে পারব।
২৪ মার্চ সকাল ১০ টায় বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,‘ করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি। আমাদের পুলিশ বিভাগ ২১ মার্চ থেকে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও মাক্স ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে কর্মসূচি পালন করছে। সারা বছর সচেতনতা বাড়ানোর কাজ আমরা করে যাচ্ছি। স্বাস্থ্যবিধি পালনে ও মাস্ক ব্যবহারে অনেক রোগ থেকে মুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ’
সারাদেশে স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে ব্র্যাক ও নাটাব এর বাস্তবায়নে চাঁদপুর সিভিল সাজৃন কার্যালয়ে কোভিট ১৯ এর সকল প্রকার স্বাস্থ্য বিধি মেনে আজকের এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল‘ মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার-যক্ষামুক্ত বাংলাদেশে গড়ার’।
র্যালির উদ্বোধন করেন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য দেন চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা.মো.সাখাওয়াত উল্লাহ।
চাঁদপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.হাবিবুল করিম,সদরের মেডিক্যাল অফিসার ডা.সাজেদা বেগম পলিন,মডের থানার অফিসার-ইন-চাজ আবদুর রশিদ,বক্ষব্যাথি হাসপাতালের ডা.মাসুদ রানা।
আলোচনা সভার সঞ্চালক ছিলেন মেডিক্যাল অফিসার ডা.ইছারুহুল্লাহ। স্বগত বক্তব্য রাখেন ব্য্রাক জেলা সমন্বয়ক মো.জিয়াউর রহমান ।
ব্র্যাক সমন্বয়ক গোলাম মোস্তফা জানান,চাঁদপুর জেলায় ২০২০ সালের টার্গেট ছিল ৫,৭১৬ জন। ২০২০ সালে ৩,৪১৭ জনকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে । ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১০৭ জন মৃত্যুবরণ করে। ৮২০ জন ব্র্যাককর্মী চাঁদপুরে যক্ষ্মা প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য-২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ে যক্ষ্মা বিষয়ক সভায় রাষ্ট্রপ্রধানগণ যক্ষ্মা নির্মূলের লক্ষ্যে একটি সুপারিশমালা পেশ করে । সেই লক্ষ্যে বাস্তবায়নে কাজ করছে স্বাস্থ্য,ব্র্র্যাক ও নাটাব। র্যালিতে নাসিং ইন্সিটিটিউটের মিক্ষঅথী, নাটাব ও ব্র্যাক কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্যবিভাগীয় কর্মীগণ অংম নেন।
আাবদুল গনি , ২৪ মার্চ ২০২১