জাতীয়

সরকার খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় অগ্রাধিকার দিচ্ছে : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) পিরোজপুরের গোপালকৃষ্ণ টাউন ক্লাব মিলনায়তনে বেসরকারি সংস্থা খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার বিশুদ্ধ ও পুষ্টিকর খাদ্য মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও সবজির পাশাপাশি জনগণের খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। তবে রাষ্ট্র একা সবকিছু করতে পারেনা। এজন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় সকলে মিলে কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটানোর জন্য শেখ হাসিনার নির্দেশনায় গবেষণার মাধ্যমে দেশীয় বিলুপ্তপ্রায় সকল প্রজাতির মাছকে আমরা ফিরিয়ে আনছি। দেশীয় মাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য ময়মনসিংহের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে জীন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন,‘ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের মাধ্যমে আমরা ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কাজ করছি। পাহাড়ি এলাকায় মাছ চাষের উদ্যোগ নিয়েছি। স্বাদু পানির মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির হারে বিশ্বে আমরা দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছি। চাষের মাছ উৎপাদনে আমরা চিন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামের পরেই রয়েছি। এটা দূরদর্শী রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনার কারনে সম্ভব হয়েছে।’

মন্ত্রী আরও বলেন,‘ভোক্তা অধিকার আইনের আওতায় সরকার সর্বত্র মনিটর করছে, মোবাইল কোর্ট করা হচ্ছে,মামলা করা হচ্ছে। যাতে মানুষের নিরাপদ খাদ্যের অধিকার যেনো-তেনো উপায়ে কেউ বিনষ্ট করতে না পারে। খাদ্যে ভেজাল মেশালে অতীতে ছিলো সীমিত শাস্তি। কিন্তু খাদ্যে ভেজাল থাকলে জীবন বিপন্ন হতে পারে। সেজন্য বিশুদ্ধ খাদ্য আইনকে সংশোধন করে সাজার মেয়াদ বাড়ানো হযেছে।’

১৯৭২ সালের সংবিধানে বঙ্গবন্ধু খাদ্যকে মৌলিক অধিকার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সে সময়ও খাদ্য যে মৌলিক অধিকার সেটাকে দেশের সর্বোচ্চ আইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।’

এ সময় অন্যন্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন-পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো.সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান।

বার্তা কক্ষ , ২০ অক্টোবর ২০২০
এজি

Share