চাঁদপুরের ৫ উপজেলায় ৪৪ ইউনিয়নে গ্রাম আদালত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ২০১৭ সালে জানুয়ারি মাসে চাঁদপুরে এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১ম পর্যায়ে কচুয়া, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ, ফরিদগঞ্জ ও শাহারাস্তি এ ৫ উপজেলায় চালু করা হয়েছে। হাইমচর, চাঁদপুর সদর ও হাজীগঞ্জে ২য় পর্যায়ে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।
সরকার কর্তৃক গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ (সংশোধন ২০১৩) অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত বিচার কার্য পরিচালনা করছে। সর্ব্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যমানের দেওয়ানী ও ফৌজদারী সংক্রান্ত মামলা নিস্পত্তি করে থাকে। গ্রাম আদালতে ফৌজদারী মামলার ফি ১০ টাকা ও দেওয়ানী মামলার ফি ২০ টাকা মাত্র। এর বাইরে গ্রাম আদালতের কোনো খরচ নেই। এখানে কোনো আইনজীবীর দরকার হয় না। গ্রাম আদালত নারী-পুরুষ সবার জন্যে ভয়মুক্ত ও নিরাপদ। সাধারণ জনগণের বিচার ব্যবস্থায় প্রবেশিধাকার নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে গ্রাম আদালত প্রতিটি ইউনিয়নে কাজ করছে।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গ্রাম আদালত শাখা সূত্রে মতে, ২০১৭ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত ২,৩৯১টি গ্রাম আদালতে মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে ২,২৪০টি ইউনিয়নে, ৯৩টি জেলা জর্জ কোর্ট এবং ৫৯ টি মামলা বিভিন্ন উপজেলার মাঠ পর্যায়ে গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২,২৫৭টি মামলা নিস্পত্তি করা হয়েছে। বাকি ১৩৪টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। চাঁদপুরে এর অর্জন ৯৪ ভাগ ।
চাঁদপুর জেলা ফ্যাসিলেটর নিকোলাস বিশ্বাস চাঁদপুর টাইমসে বলেন, ‘গ্রাম আদালত গঠন হওয়ার পর থেকে আইন বর্হিভূত বা সালিশী কমে আসছে এবং আইন সম্মত বিচার ব্যবস্থা গ্রাম আদালতের মাধ্যমে অব্যাহত রয়েছে। গ্রাম আদালতের আর্থিক সীমানা ৭৫ হাজার টাকা । এর ভেতর দু’ পদ্ধতিতে বিষয়গুলো সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এর একটি ফৌজদারী এবং অপরটি দেওয়ানী ।
তিনি আরো বলেন, সারা দেশে ৩৪ লাখ মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৬০ ভাগ মামলা ছোট খাটো বিষয় নিয়ে দায়ের করা হয়েছে বলে এক তথ্যে জানা যায়। গ্রাম আদালত ছোট খাটো বিষয়গুলো মীমাংসা করার লক্ষ্যেই কাজ করছে। অন্যদিকে মামলার এ জট কামাতেই সরকার গ্রাম আদালত গঠন করে।’
প্রতিবেদক : আবদুল গনি
১৩ ডিসেম্বর , ২০১৮ বৃহস্পতিবার