প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কারণে নিত্যপ্রয়োজনী পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
বুধবার শুরু হওয়া জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল ৫টায় এই অধিবেশন শুরু হয়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং নিরীহ মানুষকে সহায়তা করার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রয়োজন অনুযায়ী কোনো কোনো পণ্যের মূল্য (যেমন ভোজ্যতেল ও চিনি) সমন্বয় করা হয়ে থাকে।
বাজারে ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশ, মনোপলি, জোটবদ্ধতা অথবা কর্তৃত্বময় অবস্থানের অপব্যবহার সংক্রান্ত প্রতিযোগিতা বিরোধী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ এবং সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা বজায় রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় তথ্য সংগ্রহ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তদন্ত কার্যক্রম নেয়া হয়। প্রয়োজনে মামলা দায়েরসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী এর আগে সংসদে শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নেন। এদিন চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব আনে জাতীয় সংসদ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফারুক এভাবে চলে যাবেন তা কখনও ভাবিনি। আল্লাহ তার পরিবারকে এই শোক সইবার ক্ষমতা দিন। চলতি সংসদে আমরা এতোসংখ্যক সদস্যকে (এমপি) হারিয়েছি, যা অতীতে কখনও ঘটেনি।
সরকার প্রধান বলেন, ‘ফারুক ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে ছাত্র জীবনে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন। নিষ্ঠা ও সাহসের সঙ্গে সব আন্দোলন-সংগ্রামে অবদান রেখেছেন। দুঃখজনক হচ্ছে আমরা একে একে মুক্তিযোদ্ধাদের হারিয়ে ফেলছি।
‘কেবল রাজনীতি নয়, আমাদের সাংস্কৃতিক জগতে চিত্রনায়ক ফারুকের অবদান রয়েছে। তার মৃত্যুতে সংস্কৃতি অঙ্গনের বিরাট ক্ষতি হয়েছে। সব আন্দোলন-সংগ্রামে আমরা সাংস্কৃতিক কর্মীদের পাশে পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যখন তার নাম নিতেই কেউ যখন সাহস পাচ্ছিল না, তখন সাংস্কৃতিক কর্মীরা এগিয়ে এসেছিলেন। স্বাধীনতার চেতনাকে সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ফারুক ভূমিকা রেখেছেন।’
আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে সংসদে আনা শোক প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করে সংসদ। এর আগে সংসদে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়। পরে রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদের বৈঠক মুলতবি করা হয়। আকবর হোসেন পাঠানসহ মৃত্যুবরণকারীদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী।
শোক প্রস্তাবের ওপর অন্যদের মধ্যে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, আওয়ামী লীগের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আসাদুজ্জামান নূর, হাবীব হাসান, মেহের আফরোজ, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বক্তব্য দেন।
টাইমস ডেস্ক/ ৩১ মে ২০২৩