গত কয়েক দিনের প্রচন্ড শৈত্য প্রবাহে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীদের চাপ। গত ৩ দিনে প্রায় শতাধিকেরও বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। বিছানা সংকটে হিমশিম খাচ্ছে রোগী ও রোগীর লোকজন সহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এসব রোগীদের মধ্যে ঠান্ডা জনিত শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানা গেছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি রোববার দুপুরে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরজমিনে গিয়ে দেখাযায় হাসপাতালের শিশু বিভাগে প্রচুর রোগী ভর্তি রয়েছে। বিছানা সংকটে হাসপাতালের করিডোর এবং বারান্দার মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন রোগীরা।
যেখানে শিশু ওয়র্ডে মাত্র ১২ নির্ধারিত বিছানা রয়েছে সেখানে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৩০ জন।
খবর নিয়ে জানা যায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার পর্যন্ত গত ৩ দিনে শিশু ওয়ার্ডে সর্বমোট ১৩০ জন শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে গত ১১ ফেব্রুয়ারি সারাদিনে সর্বমোট ৩৫ জন শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি সারাদিন ভর্তি হয়েছে ৩১ জন এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি সারাদিনে সর্ব মোট ৪০ জন শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। এছাড়া ১৪ ফেব্রুয়ারি রোববার বিকেল পর্যন্ত সর্বমোট ২০ জন শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। তবে ১৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার দিন বেশ কিছু রোগী ছুটি নিয়েছে। বর্তমানে রোববার দিন পর্যন্ত হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে সর্বমোট ৮৪ জন শিশু রোগী ভর্তি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই বিভাগে কর্তব্যরত নার্সরা। এসব শিশু শিশু রোগীদের মধ্যে ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন তারা।
খবর নিয়ে জানা যায় চাঁদপুর জেলা শহরে গত কয়েক দিনের প্রচন্ড শৈত্য প্রবাহের কারনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে তিন দিনে হাসপাতালে প্রায় দেড় শতাধিক শিশু রোগী ভর্তি হয়েছেন।
সরজমিনে দেখা গেছে রোগীদের চাপে হাসপাতালের কোথাও ঠাঁই নেই। শিশু ওয়ার্ডের সবকটি বিছানা পরিপূর্ন হয়ে মেঝেতে ও রোগীদের জন্য বিছানা পাতা হয়েছে। হাসপাতালের ২য় তলার পুরুষ ওয়ার্ডকে আইসোলেশন ইউনিট করার কারনেই রোগীদের বিছানা এবং স্থানের সংকট দেখা দিয়েছে। এখন হাসপাতালের ৩য় তলার শিশু ওয়ার্ডকে দুই ভাগে বিভক্ত করে শিশু এবং পুরুষ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে।
এ কারণে রোগীদের চাপে মেঝেতে এবং কড়িডোরেও বিছানা পেতে রোগীরা চিকিৎসেবা নিচ্ছেন। এসব রোগীরা জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, খিচুনী এবং নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এছাড়া ও অনেক শিশু রোগীকে অভিভাবকরা হাসপাতালে নিয়ে এসে ডাক্তার দেখিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে চলে যান। একই ভাবে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন বয়স্ক রোগীরাও।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও) ডাঃ সুজাউদদৌলা রুবেল এবং ডাঃ মোঃ আসিবুল আহসান চৌধুরীর সাথে আলাপকালে তারা বলেন হঠাৎ শৈ্যে প্রবাহের কারণে বৃদ্ধ এবং শিশুরা হঠাৎ,নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। তাই বেশ কয়েক দিন হাসপাতালে রোগীদের প্রচুর চাপ দেখা দিয়েছে।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১