সরকারি পয়সায় ‘জঙ্গি’ তৈরি, মাদ্রাসার পাঠ্যবইতে ‘উগ্রবাদী’ শিক্ষা

‘সরকারি পয়সায় জঙ্গি তৈরি করা হয়, মাদরাসাশিক্ষা বোর্ড সরকারি পয়সায় চলে, সরকারি পয়সায় সিলেবাস, তাদের পাঠ্যবইতে জঙ্গিবাদ এবং উগ্রবাদী শিক্ষায় ভরপুর। একাধিক বই, একাধিক ক্লাসে এই জঙ্গিবাদী এবং উগ্রবাদী চেতনায় ভরপুর।’

নানাভাবে আলোচিত-সমালোচিত বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা চেয়ারম্যান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া মাঠের ইমাম ফরিদ উদ্দিন মাসঊদ এসব মন্তব্য করেন।

শুক্রবার রাজধানীর খিলগাঁও ইকরা বাংলাদেশ মিলনায়তনে ‘২৯ জুলাই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ দিবস’ পালন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা এ সভার আয়োজন করে।

শিক্ষামন্ত্রীর সমালোচনা করে সরকার সমর্থক এ ইমাম বলেন, ‘আমাদের শিক্ষামন্ত্রী থাকেন কোথায়? কোন দেশে বসবাস করেন আমি জানি না, আর আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যারা আছেন- একটু বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখুন। আমি অনুরোধ রাখি, আপনাদের নামে যে বই গভর্মেন্টের পয়সায় ছাপা হয়েছে, এ বইগুলো একটু পড়ে দেখুন।’

তিনি আরো বলেন, ‘জঙ্গিবাদ শিক্ষা দেব, জঙ্গিবাদের চেতনা লালন করবো অথচ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলবো, আইন করবো, এসব দিয়ে কখনই জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না।’

জঙ্গি তৈরির পেছনে শিক্ষাব্যবস্থাকে দায়ী করে আল্লামা ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থা ব্যর্থ, এর প্রমাণ আজকে উচ্চশিক্ষিত হওয়ার পরও তরুণরা নিষ্ঠুর ও বিভ্রান্ত পথে যাচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো দরকার।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিটি স্তরে ইসলাম ও ধর্মের নৈতিকতা শিক্ষাকে মূল শিক্ষা হিসেবে রাখা দরকার। না করা হলে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এক দু’জন নয় হাজার হাজার জঙ্গি, উগ্রবাদী বের হবে।’

সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত এদেশ থেকে জামায়াত-শিবিরকে উৎখাত না করা যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দেশ থেকে জঙ্গিবাদকে উৎখাত ও বন্ধ করা যাবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘সরকার জামায়াতের প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। আর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে এটা দ্বিচারিতা।’

এসময় তিনি বলেন, ‘যে দেশে জামায়াত-শিবিরের মতো দল আছে সে দেশে আইএস নতুন করে থাকবার দরকার নাই। আইএসের নামে জামায়াত-শিবির প্রক্সি দিচ্ছে। দেশে জঙ্গিবাদকে প্রতিরোধ ও রুখতে হলে এই মুহূর্তে এবং অবিলম্বে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, সরকার জামায়াত নিষিদ্ধে লজ্জা পাচ্ছে। কে লজ্জা পাচ্ছে বুঝে আসে না।’

জঙ্গি দমনে একটি কার্যকারী গবেষণা সেল গঠনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকের তরুণদের মন, মনন ও চেতনাকে বুঝতে না পারলে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ সম্ভব হবে না।’

বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুর রহিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, ইকরা বাংলাদেশের প্রিন্সিপাল মাওলানা আরিফ উদ্দিন মাহুমুদ। (উৎস- বাংলামেইল)

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৪:০০ এএম, ৩০ জুলাই ২০১৬, শনিবার

ডিএইচ

Share