খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন,`বর্তমানে সরকারি গোডাউন ও সাইলোতে খাদ্যশস্যের ধারণ ক্ষমতা ২১ লাখ মে.টন। এ বছর শেষে এ ধারণ ক্ষমতা দাঁড়াবে প্রায় ২২ লাখ মে.টনের কাছাকাছি।
রাজধানীর একটি হোটেলে ‘খাদ্য অধিদপ্তর এবং তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানী লিমিটেডের মধ্যে আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্পের আওতায় মধুপুর, ময়মনসিংহ এবং আশুগঞ্জে ৩টি স্টিল রাইস সাইলো নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি আজ এ কথা বলেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহবুদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খাদ্য অধিদপ্তরের পক্ষে চুক্তি সাক্ষর করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গাজীউর রহমান এবং তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানী লিমিটেডের পক্ষে চুক্তি সাক্ষর করেন তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানী লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান ভূইয়া।
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সাল নাগাদ ধারণ ক্ষমতা বেড়ে ২৭ লাখ ৪৫ হাজার মে.টন এবং ২০২৫ সাল নাগাদ ধারণ ক্ষমতা ৩০ লাখ মে. টনে দাঁড়াবে।
কামরুল ইসলাম বলেন, অতীতের চেয়ে এখন খাদ্যশস্যর উৎপাদন বেড়েছে। বছরে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ মে. টন চাল এবং প্রায় ২৬ লাখ মে. টন গম উৎপাদন হয়। এসব খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করার জন্য আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার বাড়াতে হবে। আর সে পরিকল্পনা নিয়েই সরকার অগ্রসর হচ্ছে।
তিনি বলেন,`আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্পের আওতায় ৩টি প্যাকেজে ৮টি সাইলো নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ৬টি চালের এবং ২টি গমের সাইলো। প্যাকেজ ড-৩ এর আওতায় ময়মনসিংহ, মধুপুর ও আশুগঞ্জে ১টি করে ৩টি সাইলো নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ময়মনসিংহে নির্মিত সাইলোর ধারণ ক্ষমতা ৪৯ হাজার ৬৫০ মে.টন, মধুপুরে নির্মিত সাইলোর ধারণ ক্ষমতা ৪৮ হাজার ৩২০ মে.টন এবং আশুগঞ্জে নির্মিত সাইলোর ধারণ ক্ষমতা ১ লাখ ৮ হাজার মে.টন। ৩ টি সাইলোর ধারণ ক্ষমতা হবে ২ লাখ ৫ হাজার ৯৭০ মে.টন।
বন্যা,সাইক্লোন ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য দীর্ঘ মেয়াদী কৌশলগত মজুদ সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় স্টিল সাইলো নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এ স্টিল সাইলোর অন্যতম সুবিধা হচ্ছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ৩ বছর পর্যন্ত খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা যায়। এ ছাড়া রাসায়নিক ও কীটনাশক ছাড়াই খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করায় পুষ্টিমান ও গুণগত মান বজায় থাকে।
বার্তা কক্ষ
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৫:১০ পিএম,৪ মার্চ ২০১৮
এজি