ফরিদগঞ্জ

ফরিদগঞ্জে সরকারি গাছ কর্তনের অভিযোগ

ফরিদগঞ্জে সরকারি চাকুরির দাপট দেখিয়ে সরকারি রাস্তা গাছ কর্তন করা অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে জনমনে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় লোকজন মনে করেন সরকারি চাকুরির করবে বলে কি নিজের ক্ষমতা দেখি জোর পূর্বক রাস্তার গাছ এই ভাবে কেটে নিয়ে যাবে এ কেমন নিয়ম, এমন প্রশ্ন জনসাধারনের মাঝে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলা ৩ নং সুবিদপুর ইউনিয়ন সামনের রাস্তা থেকে বাশারা হয়ে মুন্সির হাট বেইলী ব্রিজ পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার রাস্তা কাজ চলমান অবস্থায় রয়েছে। রাস্তাটি ৮ ফিট থেকে ১২ ফিট উন্নতি করন জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এলজিআরডি বিভাগ।

এদিকে রাস্তার দুই পাশে থাকা গাছ কোন প্রকার টেন্ডার না হওয়ায় গাছ গুলো সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেন ক্ষমতা দাপট দেখিয়ে গাছ কর্তন করে নিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেণ। গাছ গুলো কোন প্রকার টেন্ডার না করে কর্তন করে নিয়ে যাওয়া সময় স্থানীয় লোকজন তোপের মুখে পড়তে হয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেনকে।

এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন গাছ কেটে নেওয়া ঠেকাতে ৯৯৯ ও ৩৩৩ ফোন করলে ফরিদগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ ও বন বিভাগের লোক ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটা ও নেওয়া বন্ধ করে দেয়। এই নিয়ে এলাকাতে কানা ঘোষা চলছে।

কয়েকজন স্থানীয় লোক বলেন, শাহাদাত হোসেন তিনি কোন প্রকার টেন্ডার চাড়া রাস্তার গাছ অবৈধভাবে কেটে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন আমরা বাঁধা দিলে তিনি সড়ক ও জনপদ বিভাগের চাকরির হুমকি দিয়ে থাকে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেন ক্ষমতার ধাপট দেখিয়ে বলেন, এই গাছ আমি নেবো দেখি তোমরা কি ভাবে আমাকে আটকে রাখতে পারো। তার অনেক আত্মীয় সজন নাকি সরকারের বিভিন্ন মহলের উপরস্থ চাকুরি করে বলে হুমকি দিয়। উনি চাইলে নাকি ঘটনাস্থলে টেন্ডার করতে পারবেন সেই হুমকি দেন। এই ভাবে তিনি ক্ষমতা দাপট দেখিয়ে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন আমরা ৯৯৯ ও ৩৩৩ ফোন করে থাকি তখন পুলিশ ও বন বিভাগের লোকজন এসে গাছ নেওয়া বন্ধ করে দেয়।

গাছ কাটার বিষয়ে সওজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি নোয়াখালী খালি জেলাসহ আরো কয়েকটি জেলার উপ- সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত আছি। এই গাছ গুলো বন বিভাগের ঠিক আছে। আমার একটু প্রয়োজন ছিল তাই কেটে নিচ্ছি। আমি পরে টেন্ডার করে নেবো। আমার কয়েজন আত্মীয় সজন রয়েছে বন বিভাগ থেকে শুরু করে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে। তারা আমাকে বলেছে এই গাছ গুলো ঘটনাস্থলে টেন্ডার করে দিবে।

এই বিষয়ে উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা কায়সার আহাম্মদ বলেন, আমি অসুস্থ আছি দুই দিন পরে আসবো। তিনি আমার সাথে যোগাযোগ করেছে। আমি বলেছি আমি এসে বিষয়টি দেখে সিদ্ধান্ত জানাবো। তিনি যদি বন বিভাগের গাছ নিয়ে থাকেন তা হলে তার বিরুদ্ধে আইন আনুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরি বলেন, বিষয়টি আমি অবগত আছি। বন বিভাগের কর্মকর্তা আসলে বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

প্রতিবেদক:শিমুল হাছান

Share