ফরিদগঞ্জে অনুমতি ছাড়াই সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সরকারি সম্পতি নিজের দাবি করে সরকারি গাছ কাটার জন্য উপজেলা প্রশাসনের নিকট দরখাস্ত দিয়ে, বন কর্মকর্তার সঙ্গে আতাত করে তিনটি গাছ কাটছে স্থানীয় আবুল বাসার।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৯ জুন শনিবার দুপরে উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিন ইউনিয়নের আইলের রাস্তা-রামপুর সড়কের নলডুগী মিজি বাড়ি সংলগ্ন রাস্তার পূর্ব পাশ থেকে অনুমতি ছাড়াই সরকারি ৩টি রেইন ও ১টি মেহগনী গাছ কেটছে জনৈক আবুল বাসার নামের এক ব্যক্তি।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মার্চ সরকারের সম্পতি আবুল বাসার ব্যক্তি মালিকানা দাবি করে ঐ সম্পতিতে তিনটি গাছ কাটার আবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর।

আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা বন কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিলে, বন কর্মকর্তা গোপনে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দায়সারা একটি স্টিমেট তৈরি করে ১২ হাজার ২৬৭ টাকা ব্যাংকে চালান ফরমের মাধ্যমে উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তার অনুমতি না নিয়ে গাছ কাটার অনুমতি প্রদান করেন।

এ বিষয়ে আবুল বাসার জানান, আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করে এবং উপজেলা বন কর্মতার কাছে থেকে অনুমতি নিয়ে এই গাছ কাটছি এত আমাদের অপরাধ কি?

গাছ কাটার বিষয়ে স্থানী এক লোক এস এই প্রতিনিধিকে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে বলেন, আপনারা গাছ কাটয় যে ভাবে বাধাঁ দিচ্ছেন, আমি হলে হলে এটাই করতাম। কারণ গাছ কর্তণে প্রশাসন এখনও অনুমতি দেয়নি বলা চলে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে বিষয়টি সমজতার জন্য তিনি নিজেই বিভিন্ন ধরননের প্রলোভন দেখান এই প্রতিনিধিদের।

গাছ কর্তণ কালীন সময়ে গ্রাম পুলিশ ছলেমান জানান, গাছ টেন্ডার নিয়েছে হোসেন মিয়া আর বিক্রি করেছে আবুল বাসারের নিকট। আপনি কি করছেন, জবাবে জানান দায়িত্ব পালন করছি। অথার্ৎ গ্রাম পুলিশ পাহারায় সরকারি গাছ অনুমতিবিহীন কর্তন চলছে।

এ বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা মো: কাউছার মিয়ার বলেন, আপনারা চুপচাপ তেলের পঁয়সা নিয়ে এই জায়গা থেকে চলে আসুন।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আ: হান্নান জানান, আমি এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করার চেষ্টা করবো।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরি জানান, বন কর্মকর্তাকে মুঠো ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে আমি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে খোঁজ নিতে বলছি। অনিয়ম হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য: একই ভাবে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এই বন কর্মকর্তার মো:কাউছার আহম্মেদের যোগসাজশে সরকারি গাছ কাটা ও অর্থ আত্মসাতের সুনিদিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।

প্রতিবেদক:শিমুল হাছান,১৯ জুন ২০২১

Share