যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে তুরস্ক সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন আয়োজিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।
শাহজাহান খান বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনি (তুরস্ক সরকার) আমাদের অভ্যন্তরীণ বিচারে কোনো হস্তক্ষেপ না। রবং যুদ্ধাপরাধীদের যে আইন এবং বিচার বিভাগের মাধ্যমে বিচার করে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, সেই শাস্তি যাতে অব্যাহত রাখতে পারি তাতে সহযোগিতা করুন।’
তুরস্কের সরকারকে উদ্দেশ্য করে নৌ পরিবহনমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আপনারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে অপরাধ এবং নিন্দনীয় কাজ করেছেন। অপরাধী সব সময়ই অপরাধী। আমরা অপরাধীদের বিচার চাই।’
পাকিস্তান বাংলাদেশের মহা শত্রু উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা সেই পাকিস্তান, যারা আমাদের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা এবং অগণিত মা-বোনদের সমভ্রমহানী করেছিল। ১৯৭১ সালে আমাদের এই বাংলাদেশকে জ্বালিয়ে পুড়ে ছাড়খাড় করে দিয়েছিল। তারা এখনও আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সুতরাং পাকিস্তান আমাদের মহা শত্রু।’
শাজাহান খান বলেন, ‘পাকিস্তানের সহচররা আবার নতুনভাবে মানুষ হত্যা শুরু করেছে। পাকিস্তান কখনো আমাদের বন্ধু নয়। এখন আবার পাকিস্তানের সঙ্গে তুরস্ক যুক্ত হয়েছে।’
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এত সোজা ভাববেন না। এর পরিণতি পাকিস্তানের জন্য কত ভয়ংকর হবে তা ভাবতেও পারবেন না। মানুষ এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়েছেন, তাকে (শেখ হাসিনা) সফল করে তুলবেন।’
একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় পাকিস্তান ও তুরস্কর শিষ্ঠাচার বহির্ভূত কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া এবং পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে মশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শিক্ষা ভবন হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
নিউজ ডেস্ক ।।আপডটে, বাংলাদশে সময় ০৭:৫৭ পিএম,৯ সেপ্টেম্বন ২০১৬ শুক্রবার
এইউ