ফাইল ছবি
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাঁচাতে গিয়ে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন। শনিবার বেলা ১২ টার দিকে খুলনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের কনভেনশন সেন্টারে আইইবি’র ৫৮তম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
জনসভা উপলক্ষে খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে নির্মিত ১১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থ ‘নৌকা মঞ্চ’-এ দাড়িয়ে ভাষণ দেন শেখ হাসিনা। তিন শতাধিক লোক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এ মঞ্চটি নির্মাণে ৩৫ জন শ্রমিক এক সপ্তাহ ধরে দিনরাত কাজ করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান পেয়েছে। ইউনেস্কো এ ভাষণকে বিশ্ব দলিলে প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় বাঙালি জাতি আজ সম্মানিত হয়েছে। অথচ ৭৫’র ১৫ আগস্টের এই ভাষণ একরকম নিষিদ্ধই করা হয়েছিল। এই ভাষণ বাঁচাতে গিয়ে বহু নেতাকর্মীকে নিপীড়ন সইতে হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ ভাষণের মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক এ দেশের আত্ম-সামাজিক উন্নয়ন করতে চেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু সব সময় এ দেশের মানুষের উন্নয়ন চেয়েছেন। এ দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু সব ধরনের চেষ্টাই করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমাদের এই অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেটি হবে ক্ষুধা-দারিদ্র্য, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিমুক্ত আধুনিক, সমৃদ্ধ, নিরাপদ, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির বাংলাদেশ।
বিভিন্ন খাতে তার সরকারের অবদানের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। গত বছরে আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.২৮ শতাংশ। মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৬১০ মার্কিন ডলার। সব ক্ষেত্রে আমরা ব্যাপক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি।
উল্লেখ্য, সার্কিট হাউস মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নিতে খুলনায় গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বেলা পৌনে ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে তিতুমীর নৌ-ঘাঁটির ভিভিআইপি হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন করলে প্রধানমন্ত্রীকে নৌবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা অভিনন্দন জানান।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩: ০০ পি.এম ৩ মার্চ,২০১৮ শনিবার
কে এইচ.
