সমুদ্র সৈকতে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার সফরে ব্যস্ততম শিডিউলে কিছুক্ষণের জন্য থমকে গেছিল। নির্ধারিত অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা হয় সমুদ্রের পানিতে পা ভেজানোর।

যা ভাবা তাই কাজ। প্রধানমন্ত্রী চলে যান সৈকতের পাশে অগভীর পনিতে। ইনানী সৈকতে থাকার সময়টুকু প্রধানমন্ত্রীকে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখাচ্ছিল।

শনিবার কক্সবাজার-টেকনাফ ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী ইননী সৈকতে আসেন।

সেখানকার বে ওয়াচ রিসোর্টের সামনে সৈকতের বেলাভূমিতে মঞ্চ করে হয় এই অনুষ্ঠানটি। দুপুর সাড়ে ১২টায় অনুষ্ঠান শেষ হলে সফরসঙ্গী ও মেরিন ড্রাইভ নির্মাণকারী সেনা সদস্যদেরকে নিয়ে সাগর পাড়ে যান প্রধানমন্ত্রী। উপভোগ করেন বিশাল জলরাশির সৌন্দর্য।

সেনা-কর্মকর্তারা এ সময় পোশাক ও জুতা পরিহিত থাকলেও প্রধানমন্ত্রী পানিতে নামেন পায়ের স্যান্ডেল খুলেই। তার মুখে প্রসন্ন হাসিই বলে দিচ্ছিল সময়টা কতটা উপভোগ করেছেন তিনি।

সমুদ্র সৈকতে শেখ হাসিনার কয়েকটি ছবিও তোলেন ফটোসাংবাদিকরা। এদের মধ্যে কোন ছবিতে প্রধানমন্ত্রীকে একা আবার কোনো ছবিতে সফরসঙ্গী ও সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সমুদ্রের বেলাভূমিতে হাঁটতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যেই ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

অনুষ্ঠানের বক্তব্যে শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে শৈশবে সমুদ্র দেখার অভিজ্ঞতার কথা জানান।

ইনানীর সঙ্গে জড়িয়ে আছেন বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিও। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসনামলে অরণ্যঘেরা ইনানীর চেনছড়ি গ্রামে বেশ কিছু দিন ছিলেন বাংলাদেশের জাতির জনক।

এসময় বাংলাদেশের প্রধান পর্যটন শহর কক্সবাজারকে আরও আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে তোলার কথাও বলেন শেখ হাসিনা।

সকালে বিমানের বোয়িং উড়োজাহাজ মেঘদূত-এ কক্সবাজার নামার পর ইনানী সৈকতে যান প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্য দিয়ে সেখানে বোয়িং বিমান চলাচল শুরু হল।

নিউজ ডেস্ক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭ : ৫০ পিএম, ৬ মে ২০১৭, শনিবার
এজি

Share