চাঁদপুর সরকারি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগে গবেষণার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে লেখা পড়া করার অঙ্গীকার শিক্ষার্থীদের। জেলার অন্যতম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অনার্স শ্রেণির প্রাণীবিদ্যা বিভাগে ২০১৪-১৫ শিক্ষার্থী ভর্তির আসন ছিলো ৬৫ জন।
পরে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনুরোধে আরো ১০জনের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৭৫ আসনে আনা হয়। প্রতিবছর এ বিভাগে শতভাগ ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি হয়। শিক্ষকরা জানান প্রতিবছর বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের পড়া লেখায় আগ্রহের কারনে শতভাগ সাফল্যের সঙ্গে পাশ করে।
শিক্ষকদের দাবি, শিক্ষক সংকট আর শ্রেনীকক্ষ জটিলতার কারনে পাঠদানে কিছুটা ব্যহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ধরে রাখার জন্য শিক্ষক সংকট ও শ্রেণীকক্ষ সমস্যা দূর করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে কলেজের মধ্যে প্রাণীবিদ্যা বিভাগ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হবে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের গবেষণাগারটি যদি আরো বড়সর পরিসরে হতো তাহলে ক্লাস করতে সুবিধা হতো। বিভাগের সমস্যার মধ্যে বড় সমস্যা শ্রণিকক্ষ সংকট। ক্লাস করতে প্রতিনিয়ত বাধা অতিক্রম করতে হয়।
বিভাগের প্রভাষক নাজির উল্ল্যাহ মজুমদার জানান, ‘প্রাণীবিদ্যা বিভাগে সরকারি কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ অনেক বেশি। শতভাগ শিক্ষার্থীদের ধরে রাখতে হলে ক্লাসরুম সংকট ও শিক্ষক পদ পূরণ করতে হবে। প্রাণীবিদ্যা বিভাগে ছাত্র-ছাত্রীর আসন বাড়ানোর জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। এ বিভাগে বেশির ভাগ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়ে থাকে। ১২ সালে মাস্টার্সে এ বিভাগ সবাই ভালো ফলাফল অর্জন করেছে। আগামিতে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের সহযোগিতায় প্রাণীবিদ্যা থাকবে সাফল্যের পথে।’
চাঁদপুর সরকারি কলজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এএসএম দেলওয়ার হোসেন প্রাণীবিদ্যা বিভাগ সম্পর্কে বলেন, ‘কলেজে প্রাণীবিদ্যা বিভাগ একটি গুরুুত্বপূর্ণ বিভাগ। গবেষণা দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে লেখা পড়া করতে পারে সেই আহবান থাকবে। শিক্ষকরা যাতে গবেষণা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পাঠদান করাতে পারেন সে প্রচেষ্টা চলছে। প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা সামাজিকসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করে থাকে। কলেজে সকল বিভাগেই শিক্ষক শ্রেণীকক্ষ সমস্যা রয়েছে। শিক্ষক শূণ্যপদ রাখার জন্য আমরা আবেদন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব বিভাগের সমস্যা সমাধান করা হবে।’
প্রসঙ্গত, ১৯৪৬ সালের ১৫ জুন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৮০ সালে কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়। ১৯৯১-৯২ শিক্ষার্বষ থেকে অনার্স এবং ১৯৯৩-৯৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে মাস্টার্স কোর্স চালু হয়। চাঁদপুর সরকারি কলেজের মূল ভবনটির স্থাপত্যশৈলী অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন।
বর্তমানে মোট ১৭টি বিষয়ে অনার্স ও ১৪টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু আছে।