কচুয়া

জরাজীর্ণ পুরোনো ভবনে চলছে রহিমানগর ভূমি অফিস

চাঁদপুরের কচুয়ার রহিমানগর বাজারস্থ ভূমি অফিসটি নির্মিত হয় প্রায় অর্ধশত বছর পূর্বে। আধা পাকা টিন শেডের এ পুরোনো ভবনেই দীর্ঘদিন ধরে চলছে গোহট উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের যাবতীয় কার্যক্রম।

বর্তমানে এ অফিস দুটি নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। এ অফিসের দক্ষিণ পাশে রয়েছে কসাইখানা ও জরাজীর্ণ টয়লেট। তদুপরি চতুর্পাশে রয়েছে ময়লা আবর্জনা নিষ্কাশনের ড্রেন। এমনি নোংরাময় তথা দুর্গন্ধময় অবস্থায় চলছে অফিসের কার্যক্রম।

অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা দুর্গন্ধময় পরিবেশে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। জনসাধারণ ভূমি সংক্রান্ত কাজে অফিসে এসে নাক বন্ধ করে তাড়াহুড়ো করে কাজ সেরে অফিস ত্যাগ করেন।

এ নোংরাময় অবস্থা বিরাজের পাশাপাশি দক্ষিণ পাশে একটি চামুল গাছ ও একটি নারকেল গাছ হেলে পড়েছে অফিস গৃহের টিনের চালার উপর। এ গাছ দু’টি একটুখানি ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে গোড়া উপড়ে গিয়ে টিনের চালার উপর দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে বড় রকমের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

আর এমনি সম্ভাব্য দূর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে অফিসে কাজ করে যাচ্ছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এছাড়াও উত্তর গোহট ইউনিয়নের সহকারী তহসিলদার না থাকায় অফিসের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উক্ত দুই ইউনিয়নের তহসিলদার ইমাম হোসেন চৌধুরী ও আবুল বাশার বলেন, ‘বিরাজমান সমস্যা সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে অবহিত করা হয়েছে। ঝিরঝির বাতাস শুরু হলে দুর্গন্ধেরর মাত্রা তীব্র হয় যে, যাহা সহনীয় নয়। এতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম।’

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু

Share