ডাকাতিয়া-মেঘনার তীরবর্ত অঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারে চাঁদপুর কলেজের রয়েছে অনেক বেশি অবদান। স্ব-গৌরবে উচ্চশিক্ষা প্রদানে এগিয়ে যাচ্ছে কলেজটি।
এটিই এ জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। পড়া শুনার মান ভালো হওয়ায় চাঁদপুর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ও অন্যজেলা থেকেও শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আসেন।
প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভবন নেই, রয়েছে শিক্ষক সংকটও। রয়েছে নানা বাঁধা ও প্রতিকুলতা। সবকিছুকে ছাপিয়েও মেঘনার পাড়ে শিক্ষাবিস্তারে অনন্য ভুমিকা রাখছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
অর্নাস ও মাস্টার্স চালুকরণের মধ্য দিয়ে কলেজটি পরিণত হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে। বর্তমানে কলেজে ১৭টি বিষয়ে অনার্স ও ১৪টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্সে শিক্ষাদান হয়েছে।
বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি কলেজে যেমনি রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানে শিক্ষক সংকট, তেমনি রয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে গিয়ে অবকাঠামোগত সমস্যা।
আর এর মধ্যদিয়ে চাঁদপুর সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগ ভালো ফলাফল অর্জন করছে বলে জানায় কলেজ কর্তৃপক্ষ।
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ইতিহাস বিভাগে আসন সংখ্যা ৭০ জনের। শিক্ষক ও শ্রেণীকক্ষ সংকট থাকার কারনে আসন সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে না। এই বিভাগে বিভিন্ন সমস্যা থাকা সত্ত্বেও প্রতিবছর এই বিভাগ থেকে ছাত্র-ছাত্রী সাফল্যের সাথে ভালো ফলাফল অর্জন করে। বিভাগে মোট শিক্ষকপদ ৪ জনের। আর কর্মরত ৩ জন শিক্ষক দিয়েই চলছে পাঠদান। যার কারনে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে কিছুটা ব্যহত হচ্ছে বলে জানান বিভাগীয় প্রধান।
বিভাগীয় প্রধান শেখ মো. খলিলুর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের গুরুত্ব অনেক আরো বেড়েছে। অন্য বিভাগ থেকে এই বিভাগে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখা করতে আগ্রহ কমও নয়। আমি মনে করি ইতিহাস বিভাগের গুরুত্ব অনেক বেশি। শিক্ষার্থীদের এখানে পড়তে আরো আগ্রহশীল করতে হলে প্রথমে শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষ সংকট নিরসন করতে হবে। ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি সন্তুসজনক। আগের থেকে উপস্থিতি আরো বেড়েছে। এই বিভাগে কলেজ ও জাতীয় সকল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মোটামুটি এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে যোগ্যতা অনুসারে যার যার অবস্থানে রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা আরো যাতে নিয়মিত ক্লাস করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে। তাদের উচিত নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকা। তারা যাতে সু-শিক্ষায় নিজেকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে তার আহ্বান আমার। বর্তমানে দেশে জঙ্গিবাদ ভয়ানক রূপ ধারন করেছে। আমি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলবো তারা নিজেরা যেনো এর থেকে দুরে থাকে এবং অন্যদের সচেতন করে।’
কলজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এএসএম দেলওয়ার হোসেন ইতিহাস বিভাগ সম্পর্কে বলেন, ‘চাঁদপুর সরকারি কলেজ পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষামূলক কার্যক্রম, সাহিত্যচর্চা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও খেলাধুলাতেও এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মেধার স্বাক্ষর রাখছে। ইতিহাস বিভাগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। এই বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীদের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের কক্ষ সংকট দুর করার জন্য একটি প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ কাজ করছি এবং শিক্ষক শূণপদ পূরণের জন্য আবেদন করা হয়েছে।’
আগের পর্বগুলো দেখুন..