চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে চেষ্টা সমবায় সমিতিতে গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরৎ চাওয়াকে কেন্দ্র করে পৃথক সংঘর্ষে ১০-১২ জন আহত হয়েছেন।
২১ জুন রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার ১১ নং চরদুঃখিয়া ইউনিয়নে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ইসলামগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বোরহান উদ্দিনের প্রতিষ্ঠিত চেষ্টা সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতিতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কাছ থেকে সঞ্চয়ের জন্য আমানত সংগ্রহ করে। সঞ্চয়ের নামে সাধারণ মানুষের আমানতের টাকা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে জায়গা ক্রয় করে সমিতি কর্তৃপক্ষ। গ্রাহকের গচ্ছিত আমানতের টাকা ফেরৎ চাইলে বোরহান মাষ্টার সহ সংশ্লিষ্টরা টালবাহানা শুরু করে। পরবর্তীতে পাওনা টাকা ফেরৎ চাওয়ায় গ্রাহকদের হুমকি-ধামকি দেয় সমিতি কর্তৃপক্ষ।
সর্বশেষ গত ২১ জুন সন্ধ্যায় সমিতির গ্রাহক আমানতকারী তৈয়ব আলীর পক্ষ হয়ে মাহফুজল ইসলাম বাবলু বোরহান মাষ্টারের কাছে তাঁর সঞ্চয়কৃত টাকা ফেরৎ চাইলে টাকা না দিয়ে বোরহান মাষ্টার তার সাথে খারাপ আচরন করে । এ খবর গ্রামবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সমিতির অন্যান্য গ্রাহক ও এলাকাবাসী বোরহান মাষ্টারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসলে তার সাঙ্গপাঙ্গ আমির হোসেন মেম্বারের ছেলে বকুল মিজি (৪০),সেকান্তর (৩০), আনসার মৃধা (৩৫), সামছু মিয়া (৫০), নূরুল ইসলাম (৫৫) ও সাইফুল (২৮) এবং আরও ৭-৮ মিলে সমিতির ১৫-২০ জন গ্রাহক ও এলাকাবাসীর সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংর্ঘষে উভয় পক্ষের কয়েকজন হতাহত হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় মাহফুজুল ইসলাম বাবলু বাদী হয়ে ২৩ জুন ফরিদগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন।
এ স্থানীয় নাছির উদ্দীন হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, বোরহান উদ্দিন মাষ্টার প্রচেষ্টা সমিতির নামে এলাকার সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত প্রায় অর্ধকোটি নিয়ে সর্বশান্ত করেছে। মানুষ তাদের গচ্ছিত টাকা ফেরত চাইলে বোরহান মাষ্টার গংরা প্রায়ই অপমান আর নির্যাতন করে আসছে। গত ২১ জুন সমিতির গ্রাহক তৈয়ব আলী তার পাওনা টাকা ফেরত চাইলে তাকে অপমান করে মারতে আসে। পরে এলাকার লোকজন ও সমিতির গ্রাহকরা তাদের কাছে টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের প্রায় ১০-১২ জন আহত হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বোরহান উদ্দিন এ প্রতিনিধিকে জানান, উল্লেখিত গ্রাহক আমার কাছে সঞ্চয়ের টাকা পেত। আমি তাকে তার জমাকৃত টাকা থেকে কিছু টাকা ফেরৎ দিয়েছি। বাকি টাকা কোরবানীর ঈদের পর দেওয়ার কথা থাকলেও ২১ জুন লোকজন নিয়ে টাকার জন্য আমার কাছে আসে এবং আমাকে মারধর করে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রকিব জানায়, এ বিষয়ে থানায় দুটি অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিবেদক:শিমুল হাছান,২৪ জুন ২০২০