সমন্বিত পদ্ধতিতে হাঁস ও মাছ চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখেন প্রবাস ফেরৎ ফরিদগঞ্জের মো. নাজমুল হক বিপ্লব। তার বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাচনমেঘ গ্রামে।
প্রবাস ফেরৎ এ যুবক এক একর জমিকে মাছ চাষের পুকুরে পরিণত করে তার উপর ঘর নির্মাণ করে হাঁস পালন করছেন।
তিনি জানান, সমন্বিতভাবে হাঁস ও মাছ চাষের ফলে মাছের জন্য অতিরিক্তি কোন খাদ্য দিতে হয়ে না। হাঁসের বিষ্ঠাই মাছের খাবার হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। পাশাপাশি পুকুরের পাড়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি চারা রোপন করে তা থেকেও অতিরিক্ত অর্থ আয় করে লাভবান হচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তিনি র্দীঘ দিন সৌদি আরবে ছিলেন। বিদেশ থেকে দেশে আসার পর সিদ্ধান্ত নেন যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কৃষিসহ বিভিন্ন উৎপাদনশীল কাজে মনোনিবেশ করবেন। তিনি যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চাঁদপুর থেকে ৭৫ দিনের প্রশিক্ষনে অংশগ্রহণ করেন। পরে নিজের মালিকানাধীন প্রায় এক একর জমির মাটি কেটে মাছ চাষের পুকুরে পরিণত করেন।
চলতি মৌসুমে পুকুর প্রস্তুত ও হাঁস থাকার ঘর নির্মাণে তার ৫ লখ টাকা ব্যায়ে হলেও তিনি ভালো অংকের লাভের আশা করছেন। বর্তমানে তার ওই পুকুরটিতে ১০ হাজারের অধিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা বেড়ে উঠছে।
নাজমুল হক বিপ্লব চাঁদপুর টাইমসকে জানান, পুকুরের ওপরে ঘর তৈরি করে হাঁস পালন করছি। বর্তমানে খামারে ৫ শতাধিক হাঁস রয়েছে। পুকুরের উপরে হাঁস পালনের ঘরটি নির্মাণ করার ফলে হাঁসের বিষ্ঠা সরাসরি পানিতে পড়ে যায়। হাঁসের বিষ্ঠাই মাছের উৎকৃষ্ট খাবার হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। মাছের জন্য বাড়তি কোন খাবারও দিতে হয় না। হাঁসের বিষ্ঠায় মাছ দ্রুত বাড়ে ।
সমন্বিত হাঁস ও মাছ চাষ নিয়ে ভবিষৎ পরিকল্পনা সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, আমার এই খামারটিকে আরো বড় করতে চাই। বর্তমানে এখানে ৩/৪ জন লোক কাজ করলেও সামনের দিকে আমি এখানে অনেক লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে চাই।
বিশেষ করে মাছের পোনা উৎপাদনের একটি হ্যাচারি তৈরি করার ইচ্ছা রয়েছে। যার মাধ্যমে মানসম্পন্ন মাছের পোনা উৎপাদন সম্ভব হবে।
প্রতিবেদক : আতা্উর রহমান সোহাগ, ফরিদগঞ্জ
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১ : ৫১ পিএম, ৮ আগস্ট ২০১৭, মঙ্গলবার
এইউ