দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সংস্কৃতিক চর্চা হবে। এজন্য একটি নীতিমালা করছে সরকার। সম্প্রতি ‘মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রম পরিচালনা নীতিমালা, ২০২০’এর খসড়া করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সূত্র বলছে, দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ২০ হাজারের বেশি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, পর্যায়ক্রমে সরকার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ সৃষ্টি করবে। সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে শিক্ষার্থীদের সংগীত চর্চা করানো হবে।
সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত বিদ্যালয়গুলোর প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে প্রতি বছর উপজেলা,জেলা,বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে বলেও খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.বদরুল আরেফীন বলেন, ‘আমরা চাই একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সংস্কৃতি চর্চাটা হোক। শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চা সারাদেশে ছড়িয়ে যাক। সংস্কৃতি চর্চা শিশুদের মনন গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তারা যেন সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে পারে। যেন অপসংস্কৃতি থেকে বেঁচে থাকতে পারে।’
তিনি বলেন,‘এখনো কিছু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সংস্কৃতি চর্চা কার্যক্রম চলমান। এজন্য আমরা বরাদ্দও দিচ্ছি। কিন্তু আমরা এ কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছড়িয়ে দিতে চাই। এটি একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে করতে চাই,এটা করা হলে কোনো প্রশ্ন উঠবে না। নীতিমালা করে দিলে সে অনুযায়ী সবাই কাজ করবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজটা করা যাবে।’
নীতিমালার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের মতামত নেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে সচিব বলেন,‘কর্মসূচিটা যেন যথাযথভাবে হয়,মান ঠিক থাকে, মনিটরিংটা করা যায়, নিয়মনীতির মধ্যে থাকে-সেজন্যই নীতিমালা করা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা এটা চূড়ান্ত করব।’
নীতিমালায় সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রমের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রম বলতে দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংস্কৃতির সুনির্দিষ্ট কর্মকাণ্ড যেমন- বিভিন্ন ধরনের সংগীত চর্চা (দেশাত্মবোধক গান,রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি,আধুনিক সংগীতসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লোকজ সংগীতসমূহ) বোঝাবে।
খসড়া নীতিমালার পটভূমিতে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনের লক্ষ্যে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সংস্কৃতিমনষ্ক করে গড়ে তুলতে হবে।
এ লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ‘সাংস্কৃতিক চর্চা’ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে প্রাথমিকভাবে ১৮টি জেলায় জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১০টি করে ১৮০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রম শুরু করা হয়। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিটি বিদ্যালয়কে একটি হারমোনিয়াম ও এক সেট তবলা কেনার জন্য অর্থ মঞ্জুরি দেয়া হয়। প্রতিটি বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক চর্চার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
প্রশিক্ষণ দিতে প্রশিক্ষক এবং তবলা সঙ্গতকারীকে মন্ত্রণালয় নির্ধারিত হারে সম্মানী দেয়া হয়। জেলা প্রশাসনের পাঠানো প্রতিবেদনে জানা যায়, যে সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ কার্যক্রমের আওতায় রয়েছে সেসব বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে স্থানীয়, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের প্রবণতা বেড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রমের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে পটভূমিতে উল্লেখ করা হয়।
উদ্দেশ্য
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সংস্কৃতি চর্চার উদ্দেশ্য তুলে ধরে নীতিমালায় বলা হয়, দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রম চালু করা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে সুস্থ ও দেশীয় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিকাশে উৎসাহিত করা এবং সংস্কৃতির বিভিন্ন মাধ্যমে ভবিষ্যতে শিক্ষণীয় বিষয় হিসেবে যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠা করা।
অন্যান্য উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে- বিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনে উৎসাহিত করা। ভবিষ্যতে দেশের বিভিন্ন শিল্প মাধ্যমে উপযুক্ত শিক্ষক ও শিল্পী গড়ে তোলা।
বিদ্যালয় নির্বাচন প্রক্রিয়া
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় এবং প্রয়োজনে সরাসরি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্বাচন করবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলায় সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় অগ্রাধিকার বিবেচনায় নির্বাচন করে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে তালিকা প্রস্তুত করে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠাবেন।
জেলা প্রশাসক নীতিমালা অনুযায়ী জেলা কমিটির সভা করে উপজেলা থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে জেলায় সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রম পরিচালনা করার উপযুক্ত বিদ্যালয় অগ্রাধিকারভিত্তিতে নির্বাচন করে পূরণ করা ফরমসহ তালিকা সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তালিকা থেকে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয় নির্বাচন করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রমের তালিকাভুক্ত করবে। এক্ষেত্রে দেশের সব উপজেলায় যৌক্তিকভাবে সমতাভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। নীতিমালা জারির আগে যেসব বিদ্যালয় সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সেসব বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এ বিদ্যালয়গুলোও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নির্ধারিত অন্তর্ভুক্তি ফরমে হালনাগাদ তথ্য পাঠাবে।
থাকবে জাতীয় ও জেলা কমিটি
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রম বাস্তবায়নে নীতি নির্ধারণ, দিকনির্দেশনা ও অনুমোদনের লক্ষ্যে একটি জাতীয় কমিটি থাকবে। ১০ সদস্যের জাতীয় কমিটির উপদেষ্টা হবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী এবং সভাপতি হবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব।
এ কমিটি বছরে অন্তত একবার সভা করে নতুন বিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা হালনাগাদ করবে এবং কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে।
এছাড়া সিটি করপোরেশন এলাকার মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরাসরি নির্বাচন ও তদারকির জন্য এবং উপজেলা থেকে প্রাপ্ত তালিকা থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্বাচন ও তদারকির জন্য জেলা কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটির সভাপতি হবেন জেলা প্রশাসক।
জেলা কমিটিকে বছরে অন্তত একবার সভা করে সভার সিদ্ধান্ত ও পর্যালোচনা প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা
নীতিমালায় বলা হয়েছে, সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি বিদ্যালয়কে প্রাথমিকভাবে মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত হারে একটি হারমোনিয়াম ও একসেট তবলা কেনার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে। জেলা প্রশাসক জেলা কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশিক্ষক ও তবলা সঙ্গতকারী নিয়োজিত করবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা উপজেলায় নির্বাচিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য প্রশিক্ষক ও তবলা সঙ্গতকারীর নাম সুপারিশ করে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠাবেন।
প্রশিক্ষণে নিয়মিত উপস্থিতিতে অপারগতার কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশিক্ষক ও তবলা সঙ্গতকারী পরিবর্তনের সুপারিশ জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠবেন। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রশিক্ষকরা সপ্তাহে একদিন দুই ঘণ্টা সাংস্কৃতিক চর্চার প্রশিক্ষণ দেবেন। ওই দিনটিকে ওই বিদ্যালয়ের জন্য কালচারাল ডে হিসেবে গণ্য করা হবে। সাংস্কৃতিক চর্চার প্রশিক্ষণ দিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ব্যবস্থা নেবেন।
বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক চর্চার প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য প্রশিক্ষক এবং তবলা সঙ্গতকারীকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাংস্কৃতিক মঞ্জুরি খাত থেকে নির্ধারিত হারে মাসিক সম্মানী দিতে হবে। একজন প্রশিক্ষক এবং একজন তবলা সঙ্গতকারী সর্বোচ্চ তিনটি বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তিনি তিনটি বিদ্যালয় থেকে আলাদাভাবে সম্মানী পাবেন বলে খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতি বছর প্রতিযোগিতা হবে প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে
নীতিমালায় বলা হয়েছে,বিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন জাতীয় দিবসে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এ কার্যক্রমের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত বিদ্যালয়গুলোর প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে জেলা প্রশাসন প্রতি বছর একবার সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। উপজেলা পর্যায়ে বিজয়ী প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে জেলা পর্যায়ে, জেলা পর্যায়ে বিজয়ী প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে এবং বিভাগীয় পর্যায়ে বিজয়ী প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে একটি প্রতিযোগিতা আয়োজনের ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিযোগিতা আয়োজনের বিষয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। বিজয়ী প্রশিক্ষণার্থীদের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সনদপত্র দেয়া হবে।
সাংস্কৃতিক চর্চায় অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে উৎসাহ সঞ্চার করতে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানগুলোতে (যেমন-একুশে পদক, নজরুল জন্মবার্ষিকী বা মৃত্যুবার্ষিকী, রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী বা মৃত্যুবার্ষিকী বা অন্য কোনো জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের উৎসব) বিভিন্ন বছর কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজয়ী প্রশিক্ষণার্থীদের পর্যায়ক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে উপজেলা প্রশাসন, জেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা শিক্ষা অফিস, জেলা শিল্পকলা একাডেমি নিজ নিজ জেলা/উপজেলার বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রম নিয়মিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা তদারকি করবে। জেলা প্রশাসক সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রম তদারকি ও মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য দফতর/সংস্থায় যোগাযোগের জন্য একজন ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা নিয়োজিত করবেন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকেও এভাবে জেলাভিত্তিক একজন ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা নিয়োজিত করা হবে।
কোনো বিদ্যালয় যথাযথভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যর্থ হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপারিশের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন ওই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রম বাতিল করে নতুন বিদ্যালয় নির্বাচন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। জেলা প্রশাসন বছর শেষে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার একটি সচিত্র প্রতিবেদন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত সব বিদ্যালয়ের তথ্যাদি নির্দিষ্ট ছকে জেলাভিত্তিক সংরক্ষণ করবে। জেলা প্রশাসনও নিজ নিজ জেলার তালিকা সংরক্ষণ করবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বার্তা কক্ষ , ২৪ ডিসেম্বর ২০২০